ঢাকা: আগস্ট বিপ্লবের শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রস্তুত করে তাদেরকে জাতীয় বীর হিসাবে ঘোষণা, শহীদ পরিবারের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ও পূনর্বাসন এবং আহতদের সুচিৎসাসহ তাদের যথাযথ কর্মসংস্থানের আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন।
শনিবার (১৬ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে (Ktv-24) কেটিভি-২৪ আয়োজিত জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে আহতদের সাথে মতবিনিময় ও উপহার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। কেটিভি-২৪-এর চেয়ারম্যান সৈয়দ মাশুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মেজর মোঃ ইমরান, ঢাকা মহানগরী উত্তর জামায়াতের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক মু. আতাউর রহমান সরকার, কমোডর সিদ্দিকুর রহমান, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী মোস্তফা কামাল, ছাত্রনেতা আনিসুর রহমান ও জোবায়ের সিদ্দীকি প্রমুখ।
[237345]
সেলিম উদ্দিন বলেন, ছাত্র- জনতার বিপ্লব বাংলাদেশে এক নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি করেছে। বিপ্লবীরা জনগণের নায্য অধিকার এবং বৈষম্যমুক্ত ইনসাফপূর্ণ সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বুকের তাজা রক্ত রাজপথে ঢেলে দিয়েছে। দুনিয়াতে কোন পুরস্কার দিয়ে তাদের মূল্যায়ন করা সম্ভব নয় বরং তাদের প্রকৃত পাওনা হচ্ছে জান্নাত।
তিনি আরও বলেন, ফ্যাসীবাদী বাকশালী সরকার ও তাদের দোসররা তাদেরকে সন্ত্রাসী এবং রাজাকারের নাতি-পুতি হিসাবে আখ্যা দিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করেছে।
গেল ১৫ বছরে জামায়াতের ওপর আওয়ামী সরকারের জুলুম-নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে সেলিম উদ্দিন বলেন, বিগত সরকারের আমলে এমন কোন জুলুম-নির্যাতন নেই তা জামায়াতের ওপর চালানো হয়নি। তারপরও আমরা শহীদ ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সাধ্যমত চেষ্টা করেছি। জীবন্ত শহীদ (আহত) ও শহীদ পরিবারের বিষয়ে সরকারের উদাসীন থাকার সুযোগ নেই বরং আগস্ট বিপ্লবীদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি প্রদান করতে হবে।
[237353]
তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য পতিত স্বৈরাচার এবং তাদের দোসররা এখনও নানাবিধ ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তারা কখনো আনসার, কখনো সংখ্যালঘু আবার কখনো অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের রূপ নিয়ে বর্তমান সরকারকে ব্যর্থ ও বিব্রত করার অপতৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। তাই এদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে। দেশে সুদ, ঘুষ, বৈষম্য, অনাচার, অবিচার, চাঁদাবাজী, টেন্ডারবাজী, জুলুম- নির্যাতন বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত শহীদ আবু সাঈদ ও শহীদ মুগ্ধদের আন্দোলন বন্ধ হবে না বরং তা আগামী দিনেও চলমান থাকবে। আর ইসলামী আদর্শের ভিত্তিতে দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত না করা পর্যন্ত জামায়াতের সংগ্রাম বন্ধ হবে না। আমরা সকল শ্রেণির মানুষের অধিকার নিশ্চিত করতে চাই। তিনি সেই স্বপ্নের কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় দলমত নির্বিশেষ জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানান।
এসএস