রংপুর: গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় দেশকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে তখন এই পতিত ফ্যাসিস্টরা তাদের দেশি-বিদেশি দোসরদের নিয়ে বসে নেই।আপনারা দেখেছেন চট্টগ্রামে কি ঘটেছে। আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে নৃশংস কায়দায় হত্যা করা হলো। হত্যার উদ্দেশ্য খুব পরিষ্কার, যাতে করে মুসলিম সম্প্রদায় খেপে ওঠে এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে হামলা হয়। ইসকনের ব্যানারে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এই হামলা করে মুসলমানদেরকে খেপিয়ে দিয়েছে। যেন হিন্দু সম্প্রদায়ের উপরে হামলা হয় এবং এই ছবিগুলো আন্তর্জাতিক মহলে দেখিয়ে সুবিধা নেয়া যায়।
[238521]
শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরী মাঠে ‘নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠা করে বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তোলার লক্ষ্যে গণ সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসব বলেন তিনি।
তিনি বলেন, জুলাই আগষ্টের বিচার এই দেশের মাটিতে করতে হবে। ১৫ বছরের হত্যাকাণ্ডের বিচার করে বাংলাদেশের নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে। ফ্যাসিস্টদের কোন রাজনৈতিক অধিকার নেই। তাদের কোন সুযোগ দেয়া যাবেনা। দেশের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। ১৫ বছরে কোন দাবিদাওয়া মেনে নেয়া হয়নি। সব দাবি মেনে নিতে হবে।এই সরকারকে জনগণের কথা শুনতে হবে। তাদের দাবি মানতে হবে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি বিদেশি ষড়যন্ত্র কিছু করতে পারবেনা।
গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী বলেন, আমাদের তরুণরা রক্ত দিতে শিখেছে। রক্ত দিয়ে তারা এই দেশকে রক্ষা করবে। তরুণরা ঐক্যবদ্ধ হলে জালিম ফ্যাসিস্টকে পালিয়ে যেতে হয়। আপনারা ঐক্যবদ্ধ হন। জনগনের স্বার্থের বাইরে আমাদের আর কোন স্বার্থ নাই।
জুনায়েদ সাকি বলেন, ফ্যাসিস্টরা ভারতে পালিয়ে গিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আমাদের তরুণদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই ষড়যন্ত্রকে রুখে দিতে হবে। তরুণ শিক্ষার্থীদের বলতে চাই আগামীর বাংলাদেশে আপনাদের বিনা তদবিরে বিনা ঘুষে চাকরি হবে।
[238513]
গণসংলাপ অনুষ্ঠানে গণসঙ্গতি আন্দোলন রংপুর জেলার আহ্বায়ক তৌহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন, গণসংহতি আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, বাংলাদেশ কৃষক মজুর সংহতির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলিমসহ রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
এসএস