ঢাকা : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এখন কোথায়, এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে ছিল নানা গুঞ্জন। এবার নিশ্চিতভাবেই জানা গেল ৮ নভেম্বর তিনি কলকাতায় পৌঁছেছেন। ৫ আগস্ট থেকে ৯৫ দিন তিনি কোথায় ছিলেন, কিভাবে ছিলেন। কিভাবেই বা দেশ ছাড়লেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তৈরি হওয়া গণজোয়ারে প্রচণ্ড চাপের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ভারতে চলে গেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দেশ ছেড়ে চলে যাওয়ার পর দিশাহারা হয়ে পড়েন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। দলের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা না আসায় প্রথমে দেশের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে চলে যান তারা। অনেকেই দেশ ছাড়েন।
[240028]
গণমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, গণঅভ্যুত্থানের পর তিন মাস ৫ দিন তিনি দেশেই ছিলেন। এ সময়ে তিনি নিরাপদেই ছিলেন। দলের সভাপতির মতো তিনিও ভারতে আশ্রয় নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। যোগাযোগের চেষ্টা করেছেন দলীয় সভাপতির সঙ্গে। সেখান থেকে সাড়া মিলেনি।
সূত্রের দাবি, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নিয়ে ওবায়দুল কাদেরের দেওয়া বক্তব্যে বিরক্ত ছিলেন শেখ হাসিনা। ‘ছাত্রদের আন্দোলন দমাতে ছাত্রলীগই যথেষ্ট’ ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যেই আন্দোলনে আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছিল বলেই দলটির নেতারা মনে করছেন।
[240001]
ওবায়দুল কাদের গত ৮ নভেম্বর মেঘালয়ের রাজধানী শিলং হয়ে কলকাতায় পৌঁছান। তিনি এক বিশেষ স্থানে আয়েসেই দিন কাটাচ্ছিলেন। তবে কিভাবে দেশ ছাড়বেন তা চিন্তা করছিলেন। সবুজ সংকেত আসার পর সড়কপথে তিনি বিশেষ ব্যবস্থায় পৌঁছান। সেখান থেকে যান কলকাতা।
দিল্লি নয়, কলকাতাতেই তিনি অবস্থান করবেন এমনটাই জানা গেছে। ভারত সরকারের কাছে তার জন্য কেউ কেউ লবি করছিলেন। এক্ষত্রে শেখ হাসিনা কোনো আগ্রহ দেখাননি।
এমটিআই