ছাড়ের নামে ভুয়া বিমান টিকিট, প্রতারিত শত শত প্রবাসী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৪, ০৩:০৭ পিএম

ঢাকা: দেশে আসতে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ ছাড় দেওয়ার কথা বলে প্রবাসীদের কাছে ভুয়া বিমান টিকিট বিক্রি করে আসছিলেন লিটন মিয়াসহ তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন। গত কয়েক বছরে চক্রটি শত শত প্রবাসীর কাছে এমন ভুয়া টিকিট বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

চক্রটি প্রথমে ফেসবুকে অফারের কথা প্রচার করত। পরে কেউ টিকিট কিনতে চাইলে সেই টাকা তারা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিত এবং ভুয়া টিকিট দিত। এরপর মোবাইল বন্ধ করে রাখত। প্রবাসীরা দেশের বাইরে থাকায় তেমন কোনো ব্যবস্থা নিতে পারতেন না। ফলে ধরাছোঁয়ার বাইরে ছিল চক্রটি। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। অবশেষে সেই লিটন মিয়াসহ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিবির প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

[219598]

ডিবি কর্মকর্তা জানান, মিন্টু নামে এক কাতার প্রবাসী লিটন মিয়ার কথায় বিশ্বাস করে টিকিট কাটেন। কিন্তু পরে বিমানবন্দরে গিয়ে জানতে পারেন তার টিকিটটি ভুয়া। এরপর তিনি আরেকটি টিকিট কেটে দেশে আসেন। লিটনের দেওয়া একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মিন্টু সেই টিকিটের টাকা পরিশোধ করেছিলেন। সেই ব্যাংক অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুসন্ধান করে ডিবি জানতে পেরেছে সেটি লিটনের নয়, তার এক আত্মীয়ের নামে খোলা।

হারুন বলেন, আমরা প্রবাসীসহ সবাইকে অনুরোধ করব আপনারা অনলাইনে ছাড় দেখলেই টিকিট কিনবেন না। প্রতিষ্ঠানটি কোথায়, তারা আদৌ এই ব্যবসা করে কি না সব খোঁজ খবর নিয়ে টিকিট কাটবেন। এমন প্রতারক চক্রকে আমরা এর আগেও গ্রেফতার করেছি। তারা বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের ওপর প্যাকেজ দেয়। দেখবেন যে টাকা যেতেই লাগে সেটি তারা কয়েক রাত থাকা-খাওয়ার অফার দিয়ে বসে আছে। মূলত এসব প্রতারণা। এমন অফারের লোভে অনেকে দেখা যায় প্রতারিত হচ্ছে। শেষশেষ সেই টিকিট বুকিংকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে তারা খুঁজে পান না। প্রবাসী ভাইদের অনুরোধ করব, তারা যেন ১৫-২০ শতাংশ ছাড় দেখলেই টিকিট না কাটেন। অন্তত টিকিট কাটার আগে যেন সেটির অফিসটা খুঁজে বের করে তারপর টিকিট কাটেন।

ডিবি প্রধান বলেন, লিটন চক্রের মাধ্যমে যারা প্রতারিত হয়েছেন তারা বেশিরভাগই প্রবাসী শ্রমিক। তারা টিকিট কাটা হলেই মোবাইল বন্ধ করে রাখত। ফলে তাদের সঙ্গে আর পরবর্তী সময়ে যোগাযোগ করতে পারত না।

এমএস