ঢাকা: জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বাড্ডায় নিহত হাফিজুল শিকদার (২৯) নামে এক রিকশাচালকের মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আদালতের আদেশে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি তোলা হয়। ময়নাতদন্তের পর সেটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুরের দিকে মধ্য বাড্ডা মোল্লাপাড়া বরকতপুর কবরস্থান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মরদেহটি উত্তোলন করা হয়। পরে সেটি ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
[238635]
সুরতহাল প্রতিবেদনে সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক রিজুয়ানুল হক উল্লেখ করেন, নিহত হাফিজুল শিকদারের বাড়ি পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর থানার রঘুনাথপুর গ্রামে। বাবা আবু বকর শিকদার। বাড্ডা রূপনগরে এলাকার ১৮৮৬ নম্বর বাড়িতে ভাড়া থাকতেন হাফিজুল শিকদার। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ২০ জুলাই বাড্ডার প্রগতি স্মরনী এলাকায় তিনি অটোরিকশা নিয়ে অবস্থান করছিলেন। সেখানেই গুলিবিদ্ধ হয় নিহত হন হাফিজুল। এরপর তার পরিবার তাকে বাড্ডার বরকতপুর মোল্লা কবরস্থানে দাফন করে।
আদালতের নির্দেশে রোববার অ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মুহাম্মদ আছিফ উদ্দিন মিয়ার উপস্থিতিতে কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। এরপর সেটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
[238544]
মর্গ সূত্রে জানা গেছে, কবর থেকে তুলে আনার পর হাফিজুল শিকদারের মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। পরে সেটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
আইএ