ঢাকা: শেষ মুহূর্তের ঈদযাত্রায়ও ঢাকা ছাড়ছেন অনেকে। তবে ভ্রমণে ভোগান্তি নেই বললেই চলে। অনেকটাই স্বস্তিদায়ক পরিবেশে নাড়ির টানে বাড়ি ফিরছেন ঈদযাত্রীরা।
রোববার (৩০ মার্চ) সকালে রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড় নেই। টিকিট নিয়েও নেই কাড়াকাড়ি। যাত্রীদের আনাগোনা থাকলেও তুলনামূলক কম।
পরিবহন সংশ্লিষ্টতা জানিয়েছেন, ভোরে যাত্রীদের চাপ বেড়েছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটি কমে আসে। বিকেল দিকে ফের যাত্রীচাপ বাড়তে পারে।
তবে যাত্রীদের অনেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করেছেন।
বাস মালিকরা আশা করছেন, রোববার সায়েদাবাদ থেকে দুই হাজার বাস বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে যাবে। সায়েদাবাদ টার্মিনাল সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে ২৬টি রুটে বাস চলাচল করছে।
রোববার সকাল থেকে যাত্রাবাড়ী, জনপথ মোড়, এটিএম হায়দার সড়ক, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালের ভেতর ঘুরে দেখা গেছে, যাত্রীদের আনাগোনা রয়েছে। তবে টার্মিনালের ভেতরে যাত্রীর চাপ কম। মূল টার্মিনালের বাইরে সড়কের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে যাত্রীচাপ বেশি। তবে বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীর ভিড় নেই।
মো. মহিউদ্দিন কুমিল্লা যাওয়ার জন্য জনপথ মোড়ে সপরিবারে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি গুলিস্তানের একটি শপিং সেন্টারের বিক্রয় কর্মী। কথা হলে মহিউদ্দিন বলেন, ভিড় বেশি নেই। খুব একটা ঝামেলা হচ্ছে না। তবে ভাড়া বেশি। সাধারণ বাসে কুমিল্লার ভাড়া অন্যান্য সময় ২০০ টাকা হলেও এখন আড়াইশো থেকে ৩০০ টাকার কমে যাওয়া যাচ্ছে না।
[246827]
বরিশাল, পটুয়াখালী, দশমিনা রুটে চলাচলকারী বাস ভাড়া সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন যাত্রীরা। তারা বলেছেন, পটুয়াখালীর ৬০০ টাকা ভাড়া এক হাজার ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে।
চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করা নন-এসি বাসে জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে ৫০০ টাকা। যাত্রীরা জানিয়েছেন, আগে এ ভাড়া ছিল ৪০০ টাকা।
সায়েদাবাদ জনপথ মোড়ের একটি কাউন্টারের বিক্রয় কর্মী নাম প্রকাশ না করে বলেন, বরিশালের ভাড়া এখন ৭০০ টাকা নিচ্ছি। অন্য সময় এ ভাড়া ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন, আমরা কী করবো।
টার্মিনালের বাইরে যাত্রাবাড়ীর দিকে এম আর প্লাজায় গোল্ডেন লাইন ও শ্যামলী পরিবহনের কাউন্টারে যাত্রীদের ভিড় দেখা গেছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চলাচল করে সেন্টমার্টিন স্কয়ার পরিবহন (এসি গাড়ি)। নুরুল ইসলাম নামে একজন এ বাসের টিকিট বিক্রি করছিলেন। তিনি বলেন, ভাড়া ৭০০ টাকা নিচ্ছি, অন্যান্য সময়েও একই ভাড়া নেওয়া হয়।
তবে সেন্টমার্টিন স্কয়ার পরিবহনের একজন যাত্রী জানান, ভাড়া ৮০০ টাকা চেয়েছিলেন, দর কাষাঘষি করে ৭০০ টাকা দিয়েছি।
এআর