ঢাকা : মাহে রমজানের দ্বিতীয় দিন আজ। বিভিন্ন কারণে রোজার মাকরুহ হতে পারে। মাকরুহ অর্থ অপছন্দনীয়। যেসব কাজ করলে গুনাহ হয় না; তবে ইসলামে অপছন্দ করা হয়েছে সেগুলোকে মাকরুহ বলে।
রোজার ক্ষেত্রেও অনেক কাজ এমন রয়েছে, যেগুলো করলে রোজা ভঙ্গ হবে না। তবে এ ধরনের কাজ করা ঠিক নয়।
রোজা মাকরুহ হওয়ার অন্তত ১৫টি কারণ এখানে তুলে ধরা হলো-
১. মিথ্যা কথা বলা মহাপাপ। রোজা রেখে মিথ্যা কথা বললে তা মাকরুহ হবে।
২. রোজা রেখে সারাদিন শরীর নাপাক রাখলেও রোজা মাকরুহ হবে।
৩. সারাদিন রোজা রেখে ইফতারির সময় হারাম খাবার গ্রহণ করলেও রোজা মাকরুহ হবে।
৪. কোনো কারণ ছাড়াই কিছু চিবুতে থাকলে রোজা মাকরুহ হবে।
৫. কোনো কিছু স্রেফ মুখে পুরে রাখলেন, খেলেন না তাতেও রোজা মাকরুহ হবে।
৬. রোজা রেখে কারো গিবত করলে বা পরনিন্দা করলে রোজা মাকরুহ হয়।
৭. গড়গড়া করা বা নাকের ভেতর পানি টেনে নেয়ায় রোজা মাকরুহ হয়। আর এসব করার সময় পেটে পানি চলে গেলে রোজা ভেঙ্গে যায়।
৮. মুখের লালা স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় পেটে গেলে ক্ষতি নেই, তবে ইচ্ছাকৃত দীর্ঘ সময় মুখে থুথু ধরে রেখে পরে গিলে ফেললে রোজা মাকরুহ হবে।
৯. যৌন উদ্দিপক কিছু দেখলে বা শুনলেও রোজা মাকরুহ হয়।
১০. নাচ, গান, সিনেমা দেখা ও তাতে মজে থাকলে রোজা মাকরুহ হয়।
১১. কোনো বিষয়ে অস্থির হয়ে উঠলে কিংবা কাতরতা দেখালে রোজা মাকরুহ হওয়ার কথাও বলা হয়েছে কোনো কোনো ব্যাখ্যা।
১২. পাউডার, পেস্ট ও মাজন দিয়ে দাঁত পরিস্কার করলে রোজা মাকরুহ হয়ে যায়।
১৩. মুখে গুল ব্যবহার মাকরুহ এবং থুথুর সঙ্গে গুল গলার ভেতর চলে গেলে রোজা ভেঙ্গে যাবে।
১৪. রোজা রেখে ঝগড়া-বিবাদ করলে রোজা মাকরুহ হবে।
১৫. রান্নার সময় রোজাদার কোনো কিছুর স্বাদ নিলে, লবন চেখে দেখলে, ঝাল পরীক্ষা করলে মাকরুহ হয়। তবে বিশেষ প্রয়োজনে সেটা যদি করতেই হয়, তাহলে বৈধ হিসেবে ধরে নেয়া হয়।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ