জুমআর নামাজ সহিহ হওয়ার শর্তসমূহ

  • ধর্মচিন্তা ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২১, ০৯:৩১ এএম

ঢাকা: মুসলিম উম্মাহর জন্য জুমআর নামাজ পড়া মহান আল্লাহ তাআলার হুকুম। অন্যান্য দিনের তুলনায় এ দিনের মর্যাদা বেশি। নিজেদের ইচ্ছা অনুযায়ী যেমন এ নামাজ পড়া যাবে না, আবার কেউ পড়লেও তা আদায় হবে না। জুমআর নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য রয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শর্ত।

জুমআর নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার শর্তসমূহ
জুমআর নামাজ সহিহ হওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে নামাজ পড়ার অনুমতি থাকা। যাতে সব মুসলমান বিনা বাঁধায় স্বাধীনভাবে একত্রিত হয়ে নামাজ আদায় করতে পারে। এ ছাড়া যেসব শর্ত না থাকলে জুমআর নামাজ সহিহ হবে না। তাহলো-

১. ওয়াক্ত বা নির্ধারিত সময়
জুমআর নামাজের জন্য ওয়াক্ত বা সময় জরুরি। এ নামাজ জোহরের ওয়াক্তে পড়তে হয়। সুতরাং কেউ চাইলে জোহরের ওয়াক্তের আগে কিংবা পরে এ নামাজ পড়লে তা আদায় হবে না। তাছাড়া জুমআর নামাজ কাজা পড়ার তথা জোহরের ওয়াক্তের আগে/পরে পড়ার কোনো নিয়ম নেই। জুমআর নামাজ সহিহ হওয়ার জন্য জোহরের ওয়াক্তেই আদায় করতে হবে। একান্ত যদি কেউ জুমআর নামাজ পড়তে না পারে তবে তাকে জোহর নামাজ আদায় করতে হবে।

২. নামাজের আগে খুতবাহ
জুমআর জন্য অন্যতম শর্ত হচ্ছে নামাজের আগে খুতবাহ দেওয়া। খুতবাহ ছাড়া নামাজ পড়লে বা নামাজের পর খুতবাহ পড়লে জুমআর নামাজ আদায় হবে না। সুতরাং জুমআর ২ রাকাআত ফরজ নামাজ পড়ার আগে মুয়াজ্জিনের আজানের পর ইমাম দুইটি খুতবাহ দেবেন। এ খুতবাহ জুমআর নামাজ সহিহ হওয়ার জন্য অন্যতম শর্ত।

৩. জামাআত হওয়া
জুমআর নামাজ একাকি আদায় করা যায় না। জুমআর নামাজের জন্য শর্তসমূহের মধ্যে অন্যতম একটি জামাআতের সঙ্গে নামাজ আদায় করা। জুমআর জামাআত হওয়ার জন্য খুতবাহ-এর শুরু থেকে ইমাম-মুয়াজ্জিন ছাড়া কমপক্ষে ৩ জন প্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ জামাআত শেষ হওয়া পর্যন্ত উপস্থিত থাকতে হবে।

এছাড়াও জুমআর নামাজ সহিহ হওয়ার জন্য আরও ৩টি শর্ত রয়েছে-
> স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র হওয়া।
> শহর বা বড় গ্রাম হওয়া।
> মুসলিম শাসক বা তাঁর প্রতিনিধি উপস্থিত থাকা।

সুতরাং মুসলিম উম্মাহর উচিত, জুমআর নামাজ বিশুদ্ধ হওয়ার জন্য যথাযথ সময়, ২টি খুতবাহ ও যথাযথ উপস্থিতিসহ খুতবা ও জামাআত অনুষ্ঠিত করা। আর তাতেই বিশুদ্ধ হবে জুমআর নামাজ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম ‍উম্মাহকে সহিহভাবে জুমআর নামাজ আদায় করতে যথাযথ শর্তগুলো পূরণ করে নামাজ আদায় করার তাওফিক দান করুন। জুমআর নামাজ আদায়ের মাধ্যমে রিজিকের বৃদ্ধি ও যাবতীয় কল্যাণ পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সোনালীনিউজ/এইচএন