ঢাকা : বায়তুল্লাহ বা মহান আল্লাহ ঘর হচ্ছে পবিত্র কাবা। কাবা আল্লাহ তায়ালার এক কুদরতি নিদর্শন। সৃষ্টির আদিকাল থেকেই তিনি কাবাকে তাঁর মকবুল বান্দাদের বন্দেগির কেন্দ্র হিসেবে মনোনীত করেছেন। এই ঘরকে কেন্দ্র করেই বিশ্বাসীরা কালে কালে একত্রিত হয়েছেন।
এখানে উপস্থিত হয়ে প্রতিটি বিশ্বাসী মানুষ তাঁর স্রষ্টার কাছে আকুলতা প্রদর্শন করে। এ ঘর নিজে উপাস্য নয়। এ গৃহের মালিকের ইবাদত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পবিত্র আল কোরআনের সুরা কুরাইশে বলা হয়েছে- ‘তোমরা এ গৃহের মালিকের বন্দেগি করো।’
বায়তুল্লায় নামাজ আদায়ের ফজিলত : হজরত জাবের (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘অন্যত্র নামাজ আদায়ের চেয়ে আমার মসজিদে (মসজিদে নববিতে) নামাজ আদায় করা এক হাজার গুণ উত্তম এবং মসজিদুল হারামে নামাজ আদায় করা অন্য মসজিদে নামাজ আদায় করা অপেক্ষা এক লাখ গুণ উত্তম। ’ (তিরমিজি, হাদিস : ৩৯১৬)
বায়তুল্লাহ তাওয়াফের ফজিলত : হজরত ইবনে উমর (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি যথাযথভাবে সাতবার বায়তুল্লাহ তাওয়াফ করে এবং দুই রাকাত সালাত আদায় করে তার একটি গোলাম আজাদ করার সমান সওয়াব হয়। তাওয়াফের প্রতি কদমে আল্লাহ তার একটি করে গুনাহ মাফ করেন, একটি করে নেকি লেখেন এবং ১০টি মর্যাদা বৃদ্ধি করেন। ’ (মুসনাদে আহমদ, হাদিস : ৪৪৬২)
সোনালীনিউজ/এমটিআই