ঢাকা : স্বাধীনতা আন্দোলন করতে গিয়ে দখলদার ইসরায়েলি সেনাদের নির্যাতনের শিকার হন ফিলিস্তিনিরা। এতে অসংখ্য ফিলিস্তিনি নাগরিক শহীদ হয়েছেন, অনেকে হয়েছেন বন্দি ও আহত।
সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এমন ফিলিস্তিনি শহীদ, রাজনৈতিক বন্দির পরিবারের এক হাজার সদস্যকে সরকারি তত্ত্বাবধানে বেশ কয়েক বছর ধরে হজ করিয়ে থাকেন।
চলতি হজ মৌসুমেও তিনি কর্র্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন এক হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ, রাজনৈতিক বন্দির পরিবারের সদস্য ও যুদ্ধাহতদের হজের ব্যবস্থা করতে। খবর সৌদি গ্যাজেটের।
[200994]
সৌদি বাদশাহ এই উদ্যোগ নিয়েছেন পবিত্র দুই মসজিদের সেবক হিসেবে। উদ্যোগটি বাস্তবায়নে দেশটির ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করেছে। এক বিবৃতিতে সৌদি আরবের ইসলাম বিষয়ক মন্ত্রী শায়খ ডক্টর আব্দুল লতিফ বিন আব্দুল আজিজ আলে শেখ ফিলিস্তিনি শহীদ এবং আহতদের পরিবার ও আত্মীয়দের প্রতি ক্রমাগত সমর্থনের জন্য বাদশাহ ও ক্রাউন প্রিন্সকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ফিলিস্তিনের হজযাত্রীদের প্রতি সৌদি আরবের এমন ব্যবস্থাপনা দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতার অংশবিশেষ। এটা ফিলিস্তিনি জনগণের আত্মত্যাগের প্রতি সৌদি জনগণের সমর্থন।’
[200962]
হজের জন্য আমন্ত্রিতরা মিসর ও জর্ডানের দূতাবাস থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে সৌদি আরব আসবেন। হজপালনে তাদের যাবতীয় ব্যয় সৌদি সরকার বহন করবে।
সৌদি আরব সরকারি ব্যবস্থাপনায় ফিলিস্তিন ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শহীদ পরিবারকে প্রতি বছরই হজ-ওমরার ব্যবস্থা করে। সৌদি বাদশাহর নিজস্ব উদ্যোগে তাদের হজ-ওমরার যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা হয়। এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনের ১৯ হাজার মানুষ সৌদি বাদশাহর উদ্যোগে হজ আদায় করেছেন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই