কোরবানির সুস্থ পশু কেনার পরে ত্রুটি দেখা দিলে যা করবেন

  • ধর্মচিন্তা ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জুন ১৫, ২০২৩, ০১:০২ পিএম

ঢাকা : কোরবানির জন্য সুস্থ-সবল ও হৃষ্টপুষ্ট পশু জবাই করতে হয়। পশুতে যেন কোনও ত্রুটি না থাকে এ বিষয়টি খেয়াল রাখতে হয়। কারণ, কোরবানির পশু বড় ধরনের দোষ-ত্রুটি থেকে মুক্ত হতে হবে।

হাদিসে এসেছে, ‘চার ধরনের পশু দিয়ে কোরবানি হবে না। অন্ধ, যার অন্ধত্ব স্পষ্ট; রোগাক্রান্ত, যার রোগ স্পষ্ট; পঙ্গু, যার পঙ্গুত্ব স্পষ্ট ও আহত, যার কোনো অঙ্গ ভেঙে গেছে।’ ( ইবনে মাজাহ, হাদিস : ৩১৪৪)

তবে কেউ যদি সুস্থ-সবল দেখে পশু কেনার পর কোনও কারণে এতে ত্রুটি দেখা দেয়, তাহলে এই পশু কোরবানির ক্ষেত্রে বিধান বিষয়ে আলেমরা বলেন, কোরবানির নিয়তে ভালো পশু কেনার পর যদি এতে কোনও ত্রুটি দেখা দেয় তাহলে ওই পশুর কুরবানী সহীহ হবে না। এর জায়গায় আরেকটি পশু কোরবানি করতে হবে। তবে ক্রেতা গরীব হলে ত্রুটিযুক্ত পশু দিয়েই কোরবানি করতে পারবে। -খুলাসাতুল ফাতাওয়া ৪/৩১৯, বাদায়েউস সানায়ে ৪/২১৬, ফাতাওয়া নাওয়াযেল ২৩৯, রদ্দুল মুহতার ৬/৩২৫

এ বিষয়ে শাইখ ইবনে উসাইমিন রহ .তার আহকাম আল-উদহিয়্যাহ (কোরবানির বিধান) প্রবন্ধে বলেছেন, ভালো পশু কেনার পর খুঁত যদি মালিকের অবহেলার কারণে ঘটে, সেক্ষেত্রে তাকে অবশ্যই আরেকটি একই মানের বা তার চেয়ে ভাল নিখুঁত পশু দিয়ে কোরবানি করতে হবে। আর আগের ত্রুটিযুক্ত প্রাণীটি এখনও তার মালিকানাধীন বিধায়, তিনি চাইলে এই পশু বিক্রি করতে বা যা ইচ্ছা করতে পারেন।

তবে যদি পশুর ত্রুটি (খুঁত) মালিকের পক্ষ থেকে কোনো অবহেলা ছাড়াই ঘটে। এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তি চাইলে তা কোরবানি করতে পারবে, তবে সম্ভব হলে অন্য ভালো পশু কোরবানি করা ভালো।

সোনালীনিউজ/এমটিআই