ঢাকা: পবিত্র হজ আজ। আরাফাতের ময়দানে থাকার দিন। সেলাইবিহীন সাদা কাপড়ে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সারাবিশ্ব থেকে সমবেত ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আজ সেখানে হাজির হবেন। পাপমুক্তি ও আত্মশুদ্ধির আকুল বাসনা নিয়ে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতায় অংশ নিতে মঙ্গলবার আরাফাতের ময়দানে সমবেত হবেন তারা।
লাখো হাজির ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়াননি’মাতা লাকা ওয়াল মুলক, লা শারিকা লাক’ অর্থাৎ ‘আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির, তোমার কোনো শরিক নেই, সব প্রশংসা ও নিয়ামত শুধু তোমারই, সব সাম্রাজ্যও তোমার’-এই ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠবে আরাফাতের ময়দান।
মঙ্গলবার (২৭ জুন) আরাফাত দিবসে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মসজিদ নামিরা থেকে হজের খুতবা ও নামাজ আদায়ের মধ্যদিয়ে পালিত হবে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা। আরাফাতে এ দিনের আনুষ্ঠানিকতাকে মূল হজ বলা হয়।
গতকাল সোমবার (২৬ জুন) সকাল থেকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। কেউ পায়ে হেঁটে আবার কেউ বাসে করে মিনায় জড়ো হয়েছেন। মিনা এরই মধ্যে বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম তাঁবুর শহরে পরিণত হয়েছে।
করোনা মহামারির ধাক্কা কাটিয়ে চলতি বছর রেকর্ড সংখ্যক মুসল্লি পবিত্র হজ পালনের জন্য জড়ো হয়েছেন। এই সংখ্যা ২৫ লক্ষাধিক বলে জানিয়েছে সৌদির হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়।
গত রোববার (২৫ জুন) বিকেলে হজযাত্রীরা মক্কায় কাবাঘর তাওয়াফ বা প্রদক্ষিণ শুরু করেন। ইহরাম বেঁধে সেলাইবিহীন সাদা কাপড় পরে লাব্বাইক, আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনির মাধ্যমে শুরু হয় হজের আনুষ্ঠানিকতা। সোমবার (২৬ জুন) সকাল হজযাত্রীরা রওনা হন মিনার দিকে।
মক্কার মসজিদুল হারাম থেকে মিনার দূরত্ব আট কিলোমিটারের মতো। এখানে খোলা আকাশের নিচে ২৫ লাখ বর্গমিটার জায়গাজুড়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লক্ষাধিক তাঁবু টানানো হয়েছে।
সোমবার সারাদিন ও দিবাগত সারারাত মিনায় অবস্থান করবেন হজযাত্রীরা। এ সময় সেখানে মহান আল্লাহর মেহমানরা ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকবেন। এরপর ফজরসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায়ের পর তারা মিনা থেকে ১০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ঐতিহাসিক আরাফার ময়দানে যাবেন।
মিনা থেকে আরাফার ময়দানের দূরত্ব সড়কপথে ১৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার। হজযাত্রীদের কেউ পায়ে হেঁটেই এই দীর্ঘপথ পাড়ি দেবেন। আবার কেউ বাসে করেই যাবেন।
সোনালীনিউজ/এম