যেসব নতুন ফিচার এনেছে অ্যাপলের আইফোন ১৫

  • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২৩, ১১:৩৬ এএম
অ্যাপলের আইফোন ১৫ সিরিজ। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা : গত ১ ২ সেপ্টেম্বর বাজারে আসে অ্যাপলের আইফোন ১৫, আইফোন ১৫ প্লাস, আইফোন ১৫ প্রো ও ১৫ প্রো ম্যাক্স মডেলের নতুন আইফোন। পূর্বসূরী আইফোন ১৪ বের হওয়ার ঠিক এক বছর ৫ দিনের মাথায় দারুণ সব ফিচার নিয়ে মোড়ক উন্মোচন হয় নতুন সংস্করণটির। প্রতিবার নিজের সঙ্গে নিজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এই প্রযুক্তি পণ্য আবারও জোয়ার আনতে চলেছে স্মার্টফোন ব্যবহারের অভিজ্ঞতায়, এমনটা ভাবা হচ্ছিল।

তবে, ব্যবহারকারীদের অভিযোগ আইফোন ১৫ কিছু সময় সময় ব্যবহার করলেই অতিরিক্ত গরম হয়ে যাচ্ছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অ্যাপল জানিয়েছে, সমস্যা সমাধানে তারা একটি সফটওয়্যার আপডেট করবে। আর তাতেই নাকি ‘ওভারহিটিং’ সমস্যার সমাধান হবে। তবে, এই সমস্যাকে তেমন পাত্তা দিচ্ছেন না আইফোনপ্রেমীরা। তাদের অনেকেই নতুন এই আইফোনের বৈশিষ্ট্য ও গুনাগুন সম্পর্কে জানতে চান। অনেকে আবার জানতে চান আইফোন ১৪ পর আইফোন ১৫-এর ফিচারে কী পরিবর্তন এসেছে। তাদের জন্যই আজকের আলোচনা।

অ্যাপল ‘আইফোন ১৫’-এর মূল ফিচার-

ডিসপ্লে : ৬.১ ইঞ্চি সুপার রেটিনা এক্সডিআর (এক্সটেন্ডেড ডিটেকশন রেসপন্স) ও এলইডি(অর্গানিক লেড) ডিসপ্লের উপরের দিকে রয়েছে ডায়নামিক আইল্যান্ড। মডেলের লেআউট ডিজাইনে দৈর্ঘ্য আসে ১৪৭.৬ মিলিমিটার(মিলিমিটার), প্রস্থ ৭১.৬ মিলিমিটার এবং উচ্চতা ৭.৮ মিলিমিটার। আর পুরো ডিভাইসটার ওজন ১৭১ গ্রাম। ডিসপ্লে রেজুলিউশন ২৫৫৬ বাই ১১৭৯ পিক্সেল, যেখানে পিক্সেল ঘনত্ব প্রতি ইঞ্চিতে ৪৬০ পিক্সেল। এইচডিআর (হাই ডাইনামিক রেঞ্জ) উজ্জ্বলতার সর্বোচ্চ মাত্রা ১৬০০ নিট, যা আউটডোরে ২০০০ নিট পর্যন্ত পৌঁছায়।

রঙ ও গঠন : কালো, নীল, সবুজ, হলুদ, ও গোলাপী- এই পাঁচটি ভিন্ন রঙ দেওয়া হয়েছে পেছনের গ্লাসে। পেছনের পাতলা কর্নিং গ্লাসে টেক্সচার্ড ম্যাটের কাজ করা। ফ্রেম অ্যারোস্পেস-গ্রেড অ্যালুমিনিয়ামের এবং মসৃণভাবে বাঁকানো প্রান্ত। পুরো মজবুত কভারটি সিরামিক শিল্ডের।

[208128]

প্রসেসর : ডায়নামিক আইল্যান্ডকে তৎপর করার জন্য আইফোন ১৫-তে রয়েছে এ১৬ বায়োনিক চিপ। সিপিইউকে সচল রাখার জন্য রয়েছে ৩.৪৬ গিগা হার্টজের দু’টি এবং ২.০২ গিগা হার্টজের চারটি; মোট ৬-কোর। মেমরি ব্যান্ডউইথের ৫০ শতাংশেরও বেশি জুড়ে রয়েছে ৫-কোর জিপিইউ(গ্রাফিক্স প্রসেসিং ইউনিট)। ১৬-কোর নিউরাল ইঞ্জিন সফ্টওয়্যারগুলোকে সমুন্নত রাখে আইওএস(আইফোন অপারেটিং সিস্টেম) ১৭-এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে।

ক্যামেরা : ৪৮ মেগাপিক্সেল ক্ষমতাসম্পন্ন প্রধান ক্যামেরায় থাকছে ২৬ মিলিমিটার লেন্স, কোয়াড-পিক্সেল সেন্সর এবং ১০০ শতাংশ ফোকাস পিক্সেল। সেকেন্ডারি ক্যামেরায় থাকছে ১২ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড সেন্সর এবং ১৩ মিলিমিটার লেন্স। এ১৬-এর কম্পিউটেশনাল ফটোগ্রাফির শক্তি ব্যবহার করে এমনিতেই ক্যামেরা ২৪ মেগাপিক্সেল সুপার-হাই-রেজুলিউশনে উঠতে পারে। ডুয়াল-ক্যামেরা সিস্টেমে ০.৫এক্স, ১এক্স ও ২এক্স; মোট তিনটি স্তরে রয়েছে অপটিক্যাল-কোয়ালিটির জুম করার সুবিধা। সামনের দিকে আছে ১২ মেগাপিক্সেল ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সেলফি সেন্সর, যাতে রয়েছে ২৩ মিলিমিটার লেন্স।

চার্জিং ও ডাটা কানেকশন হার্ডওয়্যার : চার্জিং ও ডাটা স্থানান্তরের হার্ডওয়্যার হিসেবে রয়েছে ইউএসবি‑সি, যা যে কোনো আইফোন ডিভাইসের সঙ্গে সংযোগের জন্য উপযুক্ত। এছাড়াও রয়েছে ম্যাগসেফ এবং কিউআই-২ চার্জার সমর্থিত ওয়্যারলেস চার্জিং-এর সুবিধা। ব্যাটারি মাত্র ৩০ মিনিটে ৫০ শতাংশ চার্জ নিতে পারে। এমনকি, ম্যাগসেফের জন্য ১৫ ওয়াট এবং কিউআই-এর জন্য ৭.৫ ওয়াটে চার্জিং-এর সময়েও গতি একই থাকে। এই আইফোনের দ্বিতীয়-প্রজন্মের আল্ট্রা ওয়াইডব্যান্ড চিপ তিনগুণ রেঞ্জের ভেতর দুটি আইফোন ডিভাইসের মধ্যে সংযোগ করতে সক্ষম।

[208228]

মেমোরি ও সিম কার্ড  : ১২৮ জিবি (গিগাবাইট), ২৫৬ জিবি, এবং ৫১২ জিবির প্রতিটি ভ্যারিয়েন্টের স্টোরেজের সঙ্গে থাকছে ৬ জিবি র‍্যাম। ন্যানোসিমের সঙ্গে আইফোন ১৫-এর রয়েছে ২৯৫টিরও বেশি ক্যারিয়ার সমর্থিত ই-সিম সুবিধা।

আইফোন ১৫ বনাম আইফোন ১৪

অধিক মজবুত ও হাল্কা গঠন : পূর্বের স্টেইনলেস স্টিলের জায়গা দখল করেছে টাইটেনিয়াম ফ্রেম, যা নতুন ফোনে দিয়েছে মজবুত ও হাল্কা ওজন।

ডাইনামিক আইল্যান্ড : পুরানো সংস্করণগুলোর মত স্ক্রিনের উপরের দিকে নচের বদলে স্থান পাচ্ছে ডাইনামিক আইল্যান্ড। উদ্ভাবনী এই প্রযুক্তিতে ব্যবহারকারিরা গুরুত্বপূর্ণ অ্যালার্ট সহ বিভিন্ন লাইভ ক্রিয়াকলাপগুলোর রিয়েল টাইম অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারেন।

আউটডোরে উজ্জ্বল ডিসপ্লে : সুপার রেটিনা এক্সডিআর ও এলইডি ডিসপ্লের এইচডিআর উজ্জ্বলতা রৌদ্রোজ্জ্বল পরিবেশে ২০০০ নিট পর্যন্ত পৌঁছে, যা আগের তুলনায় দ্বিগুণ উজ্জ্বল।

ব্যাটারিকে দীর্ঘায়ু করা প্রসেসর : এ১৬ বায়োনিক চিপের ৬টি কোরের ৩.৪৬ গিগা হার্টজের কোর দুটি সক্রিয় থাকার জন্য ২০ শতাংশ কম শক্তি নেয়। ফলে আগের তুলনায় এটি অনেক কম ব্যাটারি খরচ করে দ্রুত কাজ করতে পারে।

ডুয়েল ক্যামেরায় নতুন সংযোজন : তিনটি স্তরে অপটিক্যাল-কোয়ালিটির জুম করার ক্ষমতা আইফোন ডুয়েল-ক্যামেরা সিস্টেমে এই প্রথমবারের মত সংযোগ করা হয়েছে। এছাড়া আইফোন ১৫-তে পেছনের প্রধান ক্যামেরা করা হয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেল, আর সেকেন্ডারি ক্যামেরা আগের মত ১২ মেগাপিক্সেলতেই থাকছে। সামনের ক্যামেরা রেজুলিউশন ১২ থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৪৮ মেগাপিক্সেল।

চার্জিং ও ডাটা কানেক্টর সুইচ : পূর্বের লাইটনিং পোর্টে সার্বিক পরিবর্তন এনে এবারের অ্যাপেল পণ্যে থাকছে ইউএসবি ২.০ সম্পন্ন ইউএসবি-সি চার্জিং সুইচ।

নতুন অপারেটিং সিস্টেম : আইওএস ১৭-কে আঞ্জাম দেওয়ার জন্য ১৬-কোর নিউরাল ইঞ্জিন প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ১৭ ট্রিলিয়ন ক্রিয়াকলাপ করতে সক্ষম। এটি একই সঙ্গে অনেকগুলো থার্ড পার্টি অ্যাপসহ নিজস্ব সফটওয়্যারগুলো নিরবচ্ছিন্নভাবে পরিচালনা করার দারুণ অভিজ্ঞতা দেয়।

উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা : দীর্ঘ দূরত্ব কভার করা দ্বিতীয়-প্রজন্মের আল্ট্রা ওয়াইডব্যান্ড চিপ আগের তুলনায় ৩গুণ রেঞ্জ কভার করতে পারে। এতে করে দুইজন আইফোন ১৫ ব্যবহারকারী নিজেদের অবস্থান তাৎক্ষণিক শেয়ারের মাধ্যমে ভিড়ের মাঝে একে অপরকে খুঁজে পায়।

আইফোন ১৫-এর সুবিধাগুলো

ইন্টার‍্যাক্টিভ অভিজ্ঞতা : ডায়নামিক আইল্যান্ডের মাধ্যমে ম্যাপের পরবর্তীতে নির্দেশনা, মিউজিক কন্ট্রোল, থার্ড-পার্টি অ্যাপ ইন্টিগ্রেশন, ফুড ডেলিভারি, রাইড শেয়ারিং, স্পোর্টস স্কোরসহ আরও অনেক কিছুর রিয়েল-টাইম অভিজ্ঞতা পাওয়া যায়।

সুরক্ষিত কভার ও ডিজাইন : সিরামিক শিল্ডের কভারটি অন্য যেকোনো স্মার্টফোন গ্লাসের চেয়ে অধিক শক্ত। জল ও ধূলিকণা-প্রতিরোধী কারিগরি ডিজাইনের পরেও বজায় রাখা হয়েছে এর শৈল্পিকতা। এছাড়াও আভ্যন্তরীণ টেকসই নকশা এটিকে সহজে মেরামতের উপযোগী করে তুলেছে।

উন্নত অপারেটিং সিস্টেম : আইওএস ১৭-এ আপগ্রেডের কারণের দারুণ কিছু অ্যাপের অভাবনীয় সব সুবিধা উপভোগ করতে পাচ্ছেন আইফোন ১৫ গ্রাহকরা।

যেমন ফোন অ্যাপের দরকারি আপডেট সরবরাহ করে কন্টাক্ট পোস্টারগুলোর জন্য। এতে করে আইফোন ব্যবহারকারীরা তাদের কন্টাক্টগুলোর সামনে এবং লাইভ ভয়েসমেলে নিজেরা কীভাবে হাজির হবে তা কাস্টমাইজ করতে পারে। এ১৬ বায়োনিকের সুবাদে কেউ ভয়েসমেল ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবহারকারিরা রিয়েল-টাইম তা দেখতে পান। শুধু তাই নয়; কল প্রদানকারী তার বার্তা ছেড়ে যাওয়ার সময় ব্যবহারকারীরা কলটি গ্রহণও করতে পারেন।

মেসেজ অ্যাপে আছে নতুন স্টিকার, ফিল্টার ঠিক করে অনুসন্ধান, এবং অডিও বার্তার চেক-ইন। এই চেক-ইনটা হচ্ছে- ব্যবহারকারী নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌছে গেলে, তার বন্ধু বা পরিবারের নিকট স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি অডিও বার্তা চলে যায়।

নেমড্রপ অ্যাপ এয়ারড্রপ ব্যবহার করার দারুণ একটি উপায়, যেখানে দুটি আইফোন ডিভাইসের মাঝে যোগাযোগের তথ্য শেয়ার করা যায়।

স্ট্যান্ডবাইয়ের মাধ্যমে আইফোন যে কোনো একপাশ ফিরে থাকলে বা চার্জিং অবস্থায় থাকলেও দূর থেকে তার পুরো স্ক্রিনটি দেখা যায়। এছাড়াও এটি লাইভ অ্যাক্টিভিটি, সিরির সঙ্গে কথোপোকথোন, ইনকামিং কল ও অন্যান্য নোটিফিকেশনগুলো চেক করার কাজগুলোকে সাবলীল করে। স্ট্যান্ডবাই নাইটস্ট্যান্ডের মত ছোট টেবিল, রান্নাঘর কাউন্টার বা ডেস্কের জন্য উপযুক্ত।

নিরাপত্তা ক্ষমতা : আইফোন ১৫ স্যাটেলাইট অবকাঠামোর ওপর ভিত্তি করে গাড়ি বিকল হয়ে যাওয়া, ক্র্যাশ ডিটেকশন, জরুরি এসওএস-এ সহায়তার ব্যবস্থা করতে পারে। এটি মূলত ট্রিপল এ(অথেন্টিকেশন অথোরাইজেশন অ্যাকাউন্টিং) এর মাধ্যমে করা হয়।

যে অঞ্চলগুলো সেলুলার ডাটা কিংবা ওয়াইফাই কভারেজের বাইরে থাকে, সেগুলোর জন্য আইফোন ১৫ নিকটবর্তী এলাকায় থাকা ট্রিপল-এ-এর সঙ্গে সংযোগ করে। এখানে সংক্ষিপ্ত প্রশ্নাবলী সহ একটি ইন্টারফেসের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থীর নিকট থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে সরাসরি ট্রিপল-এ ব্যবহারকারীর কাছে পাঠানো হয়।

এতে করে সঠিক অবস্থানে জরুরি জিনিসপত্র নিয়ে সহায়তা পৌছাতে পারে। এই সেবাটি দুই বছরের জন্য বিনামূল্যে আইফোন ১৫ ব্যবহারকারিদের দেয়া হবে। পরবর্তীতে ট্রিপল-এ মেম্বারশীপ নেয়া আইফোন ব্যবহারকারিদের এই সেবার আওতায় আনা হবে।

যুগোপযোগী ক্যামেরার সন্নিবেশ : ক্যামেরা সফটওয়্যারের মাধ্যমে স্ট্যান্ডার্ড ক্যামেরা ব্যবহার করে পোর্ট্রেইট মুডে ছবি তোলা ও ভিডিও করা যায়। এছাড়া ফোনটি প্রাথমিকভাবে একটি স্ট্যান্ডার্ড ফটো ক্যাপচার করে মানুষের উপস্থিতি, ছবির গভীরতাসহ যাবতীয় আনুষঙ্গিক তথ্য সংরক্ষণ করে। তারপর ফটোটি পুনরায় দেখে সেগুলোর মধ্যে ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণ করা যায়। অতঃপর সেগুলোকে পোর্ট্রেইট মুডে রূপান্তর করা যায়।

আইফোন ১৫-এর দুর্বল দিকগুলো-

অলওয়েস-অন-ডিসপ্লে (এওডি) ফাংশনের অনুপস্থিতি : কয়েক সেকেন্ড নিষ্ক্রিয় থাকার পর আইফোন স্লিপ মুডে চলে গেলে প্রতিবারই ট্যাপ করে স্ট্যান্ডবাই মুডে নিয়ে আসতে হয়। এটি ভিডিও স্ট্রিমিং সহ নানা ধরনের কাজের জন্য ঝামেলার উদ্রেক করবে।

ধীর গতির ইউএসবি-সি পোর্ট : পোর্ট নতুন দেওয়া হলেও এটি পুরানো আইফোনগুলোর মতোই ২০ ওয়াটে চার্জ হয়। দ্রুত গতিতে ডাটা স্থানান্তরের জন্য ব্যবহারকারিকে আলাদা ভাবে থান্ডারবোল্ট কেবল ব্যবহার করতে হবে। কেননা পোর্ট টাইপ সি হলেও ডাটাগুলো প্রেরণ হচ্ছে মুলত এর কোরের ইউএসবি ২.০ থেকে।

অনুন্নত রিফ্রেশ রেট : ডিসপ্লে পুরুত্ব আগের মত ৬.১ ইঞ্চি রাখাটা তেমন সমস্যার উদ্রেক করে না। তবে এটি এখনও সরবরাহ করছে একই রেজোলিউশ এবং আগের মতই রিফ্রেশ করছে ৬০ হার্ট্জ-এ। নতুন মডেল হিসেবে ৯০ হার্টজে যাওয়াটা এর অন্যান্য হাই-টেক ফিচারগুলোর সঙ্গে এর সামঞ্জস্য বিধান করতো।

আইফোন ১৫ এর দাম : আইফোন ১৫-এর দাম ৭৯৯ মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশি টাকায় ৮৭ হাজার ৫৪৬.৭৫ টাকা (১ মার্কিন ডলার = ১০৯.৫৭ বাংলাদেশি টাকা)। আইফোন ১৪-এর দাম ছিলো ৬৯৯ মার্কিন ডলার (৭৬ হাজার ৫৮৯.৭১ বাংলাদেশি টাকা) [১ মার্কিন ডলার = ১০৯.৫৭ বাংলাদেশি টাকা]।

প্রায় ১১ হাজার টাকার দূরত্বটা যে কোনো আইফোন উৎসাহীই অতিক্রম করতে আগ্রহী হবেন। তাছাড়া ডায়নামিক আইল্যান্ড এবং চোখ ধাঁধানো ক্যামেরা অনায়াসেই টেক্কা দিতে পারে এমনকি আইফোন ১৪ প্রোকেও। এর সঙ্গে ট্রিপল এ সুবিধাকে যুক্ত করলে, তা সহজাত ভাবেই ন্যায্যতা দিতে পারে এই খরচকে। তবুও আইফোন ১৫-এর মূল্যের আভিজাত্য এর নতুন ফিচারগুলোকে ছাঁপিয়ে যেতে পারে না।

এমটিআই