ঢাকা : ২০২৯ সালের মধ্যেই সুপার ইনটেলিজেন্ট এআই চলে আসবে বলে দাবি করেছেন শীর্ষ কম্পিউটার বিজ্ঞানী বেন গোয়ের্টজেল। ইতিমধ্যে ‘আর্টিফিশিয়াল জেনারেল ইনটেলিজেন্স (এজিআই)’ শব্দকে জনপ্রিয় করা এই বিজ্ঞানী সিঙ্গুলারিটিনেট নামের এআইভিত্তিক সাইট প্রতিষ্ঠা করেছেন; যার লক্ষ্য, একটি বিকেন্দ্রীভূত, গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও উপকারী এজিআই ব্যবস্থার বিকাশ ঘটানো।
এ বিষয়ে বেনিফিশিয়াল এজিআই সামিট ২০২৪-এ একটি বক্তৃতা দিতে গিয়ে গোয়ের্টজেল বলেন, আমরা এমন একপর্যায়ে পৌঁছাতে পারি, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেই নিজেকে আরও উন্নত করতে পারবে। এখনো এর বাস্তব রূপ দেখার সম্ভাবনা তৈরি না হলেও এমনটি কেন দ্রুতই ঘটতে যাচ্ছে, সে কারণগুলোর একটি তালিকা তৈরি করেছেন গোয়ের্টজেল। তার মতে, এমনটি ঘটার সম্ভাব্য কারণ, মানুষ এমন এক সূচকীয় সময়ের মধ্যে আছে, যেখানে রৈখিক বৃদ্ধির তেমন ভূমিকা নেই। এতে করে মানুষের প্রচলিত ভাবনার ওপর ভিত্তি করে পরিবর্তনের গতি বোঝা কঠিন হতে পারে।
গোয়ের্টজেল বলেন, ২০২৯, ২০৩০ সালের মধ্যেই বিভিন্ন একক কম্পিউটারে একজন মানুষের মস্তিষ্কের কম্পিউটিং সক্ষমতা চলে আসার সম্ভাবনা আছে। এর সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১৫ বছর যোগ করলে একটি একক কম্পিউটারে মোটামুটি গোটা মানব সমাজের মস্তিষ্কের সক্ষমতা চলে আসতে পারে।
[219070]
চ্যাটজিপিটির মতো ‘লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (এলএলএম)’কে এর উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এই বিজ্ঞানী। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, বিভিন্ন লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল নিজেই এজিআইয়ের পথ তৈরি করতে পারবে না। কারণ সেগুলোতে বাস্তব জগৎ বোঝার ক্ষমতা নেই। বরং এগুলো এক ধরনের ‘মসলাদার’ স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থা হিসেবে কাজ করে।
গোয়ের্টজেলের বিশ্বাস, লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলগুলো এজিআইয়ের উপাদান হিসেবে কাজ করতে পারে, যার মাধ্যমে সম্ভবত একটি একক ব্যবস্থা অর্থাৎ সিঙ্গুলারিটির দিকে যাওয়ার পথ প্রশস্ত হতে পারে। এমনকি গোয়ের্টজেলের নিজস্ব কোম্পানির এআই ব্যবস্থা ওপেনকগ হাইপারনও হতে পারে এটি।
এমটিআই