ঢাকা : জাতীয় নির্বাচন ঘনিয়ে আসতেই কদর বাড়ছে ইসলামি দলগুলোর। ভোটের আগেই জোট বড় করতে চাইছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপি। নানা মাধ্যমে চলছে আলাপ-আলোচনাও চলছে ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে। সেসব দলের নেতারা এ কথা স্বীকার করলেও, কে কার জোটে শরিক হচ্ছে সে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি এখনও।
সম্প্রতি চরমোনাই পীরের মেয়ের বিয়েতে প্রায় সব দলের নেতারাই ছিলেন এক টেবিলে। এরপর থেকেই নতুন করে আলোচনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা কাউকে শত্রু মনে করি না। আমরা এই কথা মনে করি না যে এক টেবিলে বসা যাবে না। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনে করে আমাদের অনৈক্যতাই দেশের উন্নয়নের সবচেয়ে বড় বাঁধা।
হেফাজতে ইসলাম নিজেদের অরাজনৈতিক দাবি করলেও বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা যুক্ত ইসলাম দলের সঙ্গে। তারা বলছেন, নানা সময়ে বড় দুই দলের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হলেও জোটের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি।
হেফাজতে ইসলামের প্রতিষ্ঠাকালীন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মুফতি মো. ফয়জুল্লাহ বলেন, দুই দলের সঙ্গে আমাদের শুভেচ্ছা হয় অথবা কথাবার্তা হয়, আলাপ-আলোচনা হয়, দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে কোনো কর্মপরিকল্পনা হয়, সেক্ষেত্রে আমরা কথা বলব। এর মানে এই না যে আমরা কারও সঙ্গে জোটে যাচ্ছি। রাজনীতিতে হেফাজতে ইসলাম কোনভাবেই ভূমিকা রাখবে বা অবদান রাখবে বা কোন অবস্থান নেবে এটা আমি মনে করিনা।
এনিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, ভোটের আগে জোটের পরিধি বাড়াতে চায় তারা। তাই যেসব ইসলামি দল মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী তাদের জোটে টানার চেষ্টা চলছে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, দলে টানার মূলভিত্তি হবে স্বাধীনতার চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। যেকোনো সময় তারা মহাজোটে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার ইচ্ছে পোষণ করতে পারে। সেক্ষেত্রে আমাদের দিক থেকেও কোনো অনিচ্ছা থাকবে না।
বিএনপি নেতারা বলছেন, যারা গণতন্ত্র ফেরানোসহ চলমান আন্দোলনের সঙ্গে একমত, যোগাযোগ করা হচ্ছে তাদের সঙ্গে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, যারাই এই দখলদার সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে তারাই আমরা সকলে একথা কাজ করব। ঘরে আগুন লেগেছে, আগুন নেভানোর জন্য যারা এগিয়ে আসবে, সবাইকে স্বাগত জানানো হবে।
নির্বাচন কমিশনের ৩৯টি নিবন্ধিত দলের মধ্যে ইসলামি দল ১০টি। আর নিবন্ধন নেই এমন ২০টি দল রয়েছে রাজনীতির মাঠে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই