ঢাকা : ক্রিকেট থেকে অর্জিত আয়ের উপর কর প্রদান করে প্রতিবারেই সেরা করদাতার তালিকায় থাকেন ক্রিকেটাররা। দুর্দান্ত পার্ফমেন্স করে যেমন বিশ্বের দরবারে দেশের মুখ উজ্জ্বল করে মাশরাফী- মুশফিক-সাকিব-তামিম-রিয়াদরা, তেমনি তাদের আয়ের একাংশ রাজস্ব খাতে দিয়ে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতেও রাখেন অবদান।
করোনা মহামারির কারণে এ বছর খেলাধুলার পরিমাণ একেবারেই কম। ফলে ক্রিকেটারদের আয়েও ভাটা পড়েছে। গড়ে প্রতি বছরের তুলনায় ক্রিকেটারদের ৬০ লাখ টাকা করে আয় কমেছে। আর স্বাভাবিকভাবেই তাই কমেছে ক্রিকেটারদের আয়করের পরিমাণ। তারপরও ২০১৯-২০ অর্থবছরে সেরা করদাতাদের মধ্যে উপরের তালিকাতে থাকবেন কয়েকজন টাইগার ক্রিকেটার।
গত ৫ বছর ধরে ক্রিকেটারদের মাঝে সেরা করদাতা ছিলেন টাইগারদের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। গত এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ সাকিবের তাই এ বছর কমেছে আয়ের পরিমাণ, কমেছে কর প্রদান।
টাইগার ক্রিকেটারদের মধ্যে এবার কর দেয়ার তালিকায় সবার উপরে আছেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকুর রহিম। তার নামে কর জমা হয়েছে ৩৫ লাখ ১৭ হাজার টাকা। এর পরেই আছেন তার ভায়েরা ভাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ক্রিকেট থেকে আয়ের উপর রিয়াদ কর দিয়েছেন ৩২ লাখ ৫৪ হাজার টাকা।
তালিকার তিন নাম্বারে আছেন তামিম ইকবাল। বর্তমান বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম কর দিয়েছেন সাকিবের প্রায় দ্বিগুণ। তামিম দিয়েছেন ৩১ লাখ ২৬ হাজার টাকা। শুধুমাত্র ওয়ানডে দলে খেলা সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা কর দিয়েছেন ১৪ লাখ ১৮ হাজার টাকা। নিষিদ্ধ থাকার পরও সাকিব কর দিয়েছেন দিয়েছেন ১৬ লাখ টাকা।
বিসিবির আয়কর আইনজীবী মোহাম্মদ ফুকু মিয়া গণমাধ্যমকে বলেন, করোনার কারণে এ বছর খেলা কমে যাওয়ায় ক্রিকেটারদের আয় অনেক কমে গেছে। তাই তাদের কর দেয়ার পরমান অন্য বারের তুলনায় অনেক কমে গেছে। গত তিন বছর সাকিব-তামিম-মাশরাফী সর্বোচ্চ করদাতা ছিলেন। তবে এবার ওদের সাথে মুস্তাফিজুর রহমান ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের এই তালিকাতে চলে আসার সম্ভাবনা আছে।
সোনালীনিউজ/এমটিআই