ঢাকা: আটলান্টা ক্লাবের সেরা খেলোয়াড় ছিলেন আর্জেন্টাইন তারকা পাপু গোমেজ। দারুণ খেলেও গত মৌসুমে ক্লাব ছেড়ে পাড়ি পাড়ি জমান সেভিয়ায়!
কোচ জিয়ানপিয়েরে গাসপেরিনির সঙ্গে মন কষাকষি চলছে, এটা বোঝা গিয়েছিল আগেই। কিন্তু গোমেজ নিজে বিস্তারিতভাবে কখনই জানাননি। এক বছর পর অবশেষে মুখ খুলেছেন। জানিয়েছেন, কোচ তাকে একবার তাকে মারতেও গিয়েছিলেন।
চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বে সেবার ড্যানিশ ক্লাব মিতিউলানের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল আটলান্টা। প্রথমার্ধ শেষে বিরতির সময় কথা-কাটাকাটি হয় কোচ গাসপেরিনি ও অধিনায়ক গোমেজের মধ্যে। কোচের একটা কৌশলগত পরিকল্পনার সঙ্গে একমত ছিলেন না গোমেজ। ব্যস, এতটুকুতেই শিষ্যকে মারতে গিয়েছিলেন গাসপেরিনি!
আর্জেন্টাইন সংবাদমাধ্যম লা নাসিওনকে সেই ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন গাসপেরিনি, 'আমি তার একটা কৌশলগত পরিকল্পনা অমান্য করেছিলাম। প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার দশ মিনিট আগে তিনি আমাকে ডানে এসে খেলতে বলেন। কিন্তু আমি বাঁয়ে ভালো খেলছিলাম। তাই আমি সে কথা অমান্য করি।'
কাজটা করে গোমেজ যে ঠিক করেননি, সেটা তখনই বুঝেছিলেন, 'আমি জানতাম ম্যাচের মধ্যে ক্যামেরার সামনে এভাবে কথা না শুনলে তিনি খেপে যাবেন, হয়েছেও সেটাই। আমি জানতাম ড্রেসিংরুমে উনি আমাকে বকাঝকা করবেন। কিন্তু বিরতির সময় এভাবে সীমা অতিক্রম করবেন সেটা বুঝিনি। উনি আমাকে শারীরিকভাবে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন।'
এরপরেও গোমেজ হয়তো ক্লাব ছাড়তেন না, যদি গাসপেরিনি ক্ষমা চাইতেন, 'ব্যাপারটা যখন মারামারির পর্যায়ে চলে যায়, সেটা সহ্য করা যায় না। তাই আমি ক্লাব সভাপতি আন্তোনিও পেরকাসির সঙ্গে দেখা করি। আমি তাকে বলি, দেখুন, আমার ক্লাবের হয়ে খেলতে সমস্যা নেই। আমি মানি, আমারও দোষ ছিল, আমি কোচের কথা মানিনি। কোচের কথা অমান্য করে খারাপ উদাহরণ সৃষ্টি করেছি। কিন্তু আমি চাই ওই ঘটনার জন্য কোচ আমার কাছে অন্তত ক্ষমা চাক।'
গাসপেরিনি কখনই গোমেজের কাছে ক্ষমা চাননি, গোমেজ তার কাছে ক্ষমা চাওয়া সত্ত্বেও, 'পরদিন গোটা দলের সঙ্গে একটা সভা ছিল। সে সভায় আমি সবার সামনে কোচ আর সতীর্থদের কাছে ক্ষমা চাই। কিন্তু কোচ আমার কাছে ক্ষমা চাননি তার দুর্ব্যবহারের জন্য।'
এই ঘটনার পরেই গোমেজের মাথায় রক্ত চড়ে যায়, 'কিছুদিন পর আমি সভাপতির সঙ্গে কথা বলি। তাকে জানাই, গাসপেরিনির অধীনে আমার পক্ষে আর খেলা সম্ভব না।
সোনালীনিউজ/এআর