ঢাকা: এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে আজ নিজেদের শেষ ম্যাচে ভারতের মোহনবাগানের মুখোমুখি হয়েছিল বসুন্ধরা কিংস।
জিততে পারলে বসুন্ধরা পেয়ে যেত আন্ত-আঞ্চলিক সেমিফাইনালের টিকিট। ড্র করলে লাভ নেই, মোহনবাগানই চলে যাবে সেমিফাইনালে।
এমন সমীকরণ নিয়েই মোহনবাগানের বিপক্ষে মাঠে নেমেছিল প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু সমীকরণ বদলাতে পারেনি বসুন্ধরা। শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করেই পরবর্তী রাউন্ডের টিকিট পেল মোহনবাগান। জিতলেই হতো ইতিহাস। প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের আন্তআঞ্চলিক পর্বের সেমিফাইনালে নিশ্চিত হতো। কিন্তু সেই কাজটি করতে পারল না বসুন্ধরা কিংস।
ম্যাচে প্রথমার্ধে এগিয়ে গিয়েও ড্রয়ের হতাশায় মাঠ ছাড়তে হয়েছে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নদের। প্রথমার্ধের একেবারে শেষ দিকে সুশান্ত ত্রিপুরা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়ায় পুরো দ্বিতীয়ার্ধে ১ খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলতে হয়েছে বসুন্ধরাকে। সেই সুযোগটিই কাজে লাগিয়েছে মোহনবাগান।
২৮ মিনিটে জোনাথনের গোলে এগিয়ে যায় বসুন্ধরা। বক্সের মধ্য থেকে ডান পায়ের জোরালো শটে কাছের পোস্ট দিয়ে গোলটি করেছেন তিনি। খেলার অনেক পথ বাকি থাকলেও মনে হচ্ছিল, ইতিহাস রচনা করতেই পারে বসুন্ধরা। কিন্তু প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে সেই স্বপ্নের লাগাম টেনে ধরে সুশান্তের লাল কার্ড।
প্রতিপক্ষের ১ খেলোয়াড় কম নিয়ে খেলার সুযোগটা প্রতি মিনিটেই কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছে অ্যান্থনিও লোপেজের দল। ৬২ মিনিটে ম্যাচে ফিরেও তারা। মোহনবাগানকে সমতায় ফেরান অস্ট্রেলিয়ার ফরোয়ার্ড উইলিয়াম। লিস্টনের পাসে গোলমুখ থেকে আনমার্কড থাকা অবস্থায় পা লাগানোর কাজটি শুধু করেছেন অস্ট্রেলিয়ান এই ফরোয়ার্ড।
সোনালীনিউজ/এআর