ঢাকা : বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আলোচিত নেতা ও নামি-দামি ব্যক্তিদের গোপন আর্থিক লেনদেনের খবর ফাঁস হয়েছে প্যানডোরা পেপার্সে। তালিকায় উঠে এসেছে পপ তারকা শাকিরা থেকে শুরু করে ইতালিয়ান কুখ্যাত মাফিয়া রাফায়েল আমাতোর নামও। আর এবার সেই তালিকায় পাওয়া গেছে শচীন টেন্ডুলকারের নাম।
প্যান্ডোরা পেপার্স অকে রথি-মহারথি, সেলিব্রেটির থলের বিড়াল বের করে দিচ্ছে। অবৈধ সম্পদের অধিকারী এমন অনেক মানুষের নাম সামনে নিয়ে এলো এই গবেষণা নথি, যে নামগুলো শুনলেও মানুষে আঁতকে উঠছে যে, তারাও এমন কিছুর সঙ্গে জড়িত। সাধারণ মানুষ যাদেরকে দেবতার মত সম্মান করে, তারাও অবৈধ সম্পদের অধিকারী!
ভারতীয় রথি-মহারথিদের মধ্যে তেমনেই নাম রয়েছে সাবেক তারকা ক্রিকেটার, মাস্টার-ব্লাস্টার শচিন টেন্ডুলকারেরও। যাতে নাম রয়েছে তার স্ত্রীরও।
রোববারই ফাঁস হয়েছে বিতর্কিত ‘প্যান্ডোরা পেপার্স’। নথিতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের প্রায় ৩৫ জন বর্তমান ও সাবেক রাজনৈতিক নেতা এবং ৩০০’র বেশি প্রভাবশালী সরকারি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার নাম রয়েছে। সে তালিকাতেই যুক্ত হয়েছে শচিন টেন্ডুলকার, তার স্ত্রী অঞ্জলি এবং শচিনের শশুর আনন্দ মেহতার নাম।
আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিতর্কিত ‘প্যান্ডোরা পেপার্স’-এ জানানো হয়েছে, ব্রিটিশ ভার্জিন আইল্যান্ডে সাস ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড (Saas International Limited) নামে একটি সংস্থার Beneficial Owners (BOs) এবং ডিরেক্টর পদে রয়েছেন শচিন, অঞ্জলিরা।
২০১৬ সাল থেকে নাকি এই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত মাস্টার ব্লাস্টার। সংস্থায় ৯টি শেয়ার রয়েছে শচিনের। যার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭ কোটি রুপি। অঞ্জলি টেন্ডুলকারের রয়েছে ১৪টি শেয়ার। যার মূল্য ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি রুপি। আর আনন্দ মেহতার শেয়ার ৫টি। তার শেয়ারের মূল্য প্রায় ৪ কোটি রুপি।
তবে এই তথ্যের অস্বীকার করেছেন শচিনের আইনজীবী। তিনি বলেছেন, ‘শচিনের যাবতীয় বিনিয়োগ বৈধ এবং আয়কর বিভাগের কাছে এর প্রতিটির হিসাব রয়েছে।’
এদিকে, শচিন ছাড়াও বিতর্কিত ‘প্যান্ডোরা পেপার্স’-এ আরও অনেকের নাম রয়েছে। যেমন- জর্ডানের রাজা গোপনে ব্রিটেন ও আমেরিকায় সাত কোটি পাউন্ডের সম্পত্তি কিনেছেন। লন্ডনে অফিস কেনার সময় ঘুরপথে ৩.১২ লক্ষ পাউন্ড স্ট্যাম্প ডিউটি ফাঁকি দিয়েছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও তার স্ত্রী।
এই দম্পত্তি সাগরপারে একটি সংস্থা কিনে ফেলেছিলেন, যাদের ওই অফিসের মালিক হিসাবে দেখানো হয়। ফাঁস হয়ে গেছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মোনাকোয় গোপন সম্পত্তি, ফ্রান্সের দক্ষিনাঞ্চলে দুটি ভিলা কিনতে বেনামে একটি সংস্থায় ১২ মিলিয়ন পাউন্ড বিনিয়োগ গোপন করে গেছেন চেক প্রধানমন্ত্রী আন্দ্রেজ বাবিজ। এই সপ্তাহের শেষে নির্বাচনে এই বিষয়টি অস্বস্তিতে ফেলবে বাবিজকে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ