ঢাকা : মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে দিলেন ৩১ রান। সেখানে সাকিব আল হাসান ১ ওভার বল করে দিলেন মাত্র ১ রান। উইকেটও নিলেন ১টি। এ দু’জনের বোলিং পার্থক্যই যেন বলে দিচ্ছে অনেক কিছু, ম্যাচের পুরো চিত্র।
শারজায় অনুষ্ঠিত নিজেদের লিগ পর্বের শেষ ম্যাচে পরস্পর মুখোমুখি হয় কেকেআর এবং রাজস্থান রয়্যালস। টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর কেকেআর ব্যাটসম্যানরা রীতিমত ঝড় তোলে। যার ফলে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৭১ রান তোলে কলকাতা।
জবাব দিতে নেমে ১৬.১ ওভার টিকে থাকতে পেরেছে রাজস্থান। অলআউট হয়েছে ৮৫ রানে। ৮৬ রানের বিশাল জয়ে চতুর্থ দল হিসেবে আইপিএলের প্লে-অফ প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে সাকিব আল হাসান অ্যান্ড কোং। আর বিদায় নিশ্চিত হয়ে গেছে রাজস্থান রয়্যালস এবং পাঞ্জাব কিংসের।
১৪ ম্যাচে কেকেআরের পয়েন্ট এখন ১৪। শুধু তাই নয়, রান রেটেও তারা অনেক এগিয়ে। শাহরুখ খানের দলের রানরেট ০.৫৮৭। কাগজে-কলমে যদিও কেকেআরের প্লে-অফ লেখা যাচ্ছে না। কারণ, এখনও তাদের সামনে হুমকি হয়ে আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
আগামীকাল তারা খেলবে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে। মুম্বাই যদি বড় ব্যবধানে জিতে যায়, সে ক্ষেত্রে কেকেআরের সঙ্গে পয়েন্ট হবে সমান। তখন রান রেট হিসেব হবে। যদিও এ ক্ষেত্রে ঢের এগিয়ে কেকেআর। মুম্বাইর রান রেট হচ্ছে -০.০৪৮।
১৭২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামার পর প্রথম ওভারেই সাকিবের তোপের মুখে পড়ে রাজস্থান। দলটির ওপেনার জসস্বি জশওয়াল ওভারের তৃতীয় বলেই কোনো রান না করে বিদায় নেন সাকিবের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে। ওই ওভারে সাকিব ১ রান দিয়ে ১ উইকেট নিলেও তাকে রহস্যজনক কারণে আর বোলিংয়েই আনেননি কেকেআর অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান।
যদিও এরপর শিভাম মাভি এবং লকি ফার্গুসনের অসাধারণ বোলিংয়ের মুখে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে রাজস্থান। শিভাম মাভি নেন ৪ উইকেট এবং লকি ফার্গুসন নেন ৩ উইকেট। বরুন চক্রবর্তি নেন ১ উইকেট।
রাজস্থানের হয়ে মিডল অর্ডারে রাহুল তেওয়াতিয়া ৩৬ বলে খেলেন ৪৪ রানের ইনিংস। ১৮ রান করেন শিভাম দুবে। এছাড়া আর কেউই দুই অংকের ঘর স্পর্শ করতে পারেননি।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিযে ১৭১ রান করে কেকেআর। ৫৬ রান করেন শুভমান গিল। ৩৮ রান করেন ভেঙ্কটেশ আয়ার। ২১ রান করেন রাহুল তেওয়াতিয়া।
সোনালীনিউজ/এমটিআই