ঢাকা : মুশফিক-লিটন-আফিফরা কেউ ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় শ্রীলংকার বিপক্ষে লড়াকু পুঁজি পায়নি বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সংযুক্ত আরব আমিরাতে আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচে শ্রীলংকার কাছে ৪ উইকেটে হেরেছে বাংলাদেশ দল।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ম্যাচে আগে ব্যাট করে স্কোর বোর্ডে ১৪৭ রান জমা করে টাইগাররা।
এমন মাঝারি সংগ্রহ নিয়ে বাংলাদেশের বোলাররা শুরুটা ভালোই করে। চেপে ধরে লঙ্কানদের।
অনেকের মতে, বোলাররা ম্যাচটা হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছিলেন প্রায়। ৭৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে বসে লঙ্কানরা। আশা জাগিয়ে তুলে বাংলাদেশি সমর্থকদের মাঝে। কিন্তু শেষ দিকে ম্যাচ ডোবালেন বোলাররাই।
লাইন-লেন্থ হারিয়ে করা কয়েকটি ভুলের সুযোগ লুফে নেয় লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা।
৪ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় শ্রীলংকা। মূলত শেষ দিকের বাজে বোলিংয়েই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
আবুধাবির টলারেন্স ওভালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আনুষ্ঠানিক প্রস্তুতি ম্যাচটি হেরে গেল বাংলাদেশ।
১৪৮ রানের তাড়ায় বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে শুরুটা বাজে হয় শ্রীলংকার।
পাওয়ার প্লেতেই দুই ওপেনার কুশল জেনিথ পেরেরা ৪ ও পাথুম নিসাঙ্কা ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দীনেশ চান্দিমাল ১৩ রানে থামেন। ভানিন্দু হাসারাঙ্গা ৭ রান বিদায় নেন। ভানুকা রাজাপাকশেকে রানের খাতা খুলতেই দেয়নি বাংলাদেশি বোলাররা।
দাসুন শানাকারাকেও ৭ রানে ফেরেন। ফলে মাত্র ৭৫ রানেই ৬ উইকেট হারায় লঙ্কা। তবে ব্যাটারদের এই আসা-যাওয়ার মিছিলে সামিল হননি ফর্মে থাকা টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান আভিশকা ফার্নান্দো।
চামিকা করুনারত্নের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৮.১ ওভারে অবিচ্ছিন্ন ৭৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন আভিশকা। তিনি অপরাজিত থাকেন হাফসেঞ্চুরি হাঁকিয়ে।
বাংলাদেশের পক্ষে দুর্দান্ত বল করছেন সৌম্য সরকার। তিন ওভারে মাত্র ১২ রান খরচায় ২ উইকেট নেন তিনি। এছাড়া শেখ মেহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের শিকার একটি করে উইকেট।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট হাতে নামেন নাঈম শেখ ও লিটন দাস। উদ্বোধনী জুটি গত ম্যাচের মতো ১০১ রান জমা করতে পারেনি।
৩১ রান যোগ করেই জুটি ভেঙে বিদায় নেন ওপেনার লিটন। ১৪ বলে ১৬ রানের ইনিংস খেলেন লিটন। তার পরে নাঈমও টেকেননি বেশিক্ষণ।১৯ বল খেলে করেন ১১ রান।
টানা ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন মি. ডিপেন্ডেবল খ্যাত তারকা মুশফিকুর রহীম। ওমানের বিপক্ষে রানের খাতাই খুলতে পারেননি। এবার করলেন ১৩ বলে সমান ১৩ রান।
তৃতীয় উইকেট জুটিতে মুশফিকের সঙ্গে ২৭ রান যোগ করেন সৌম্য সরকার। মুশফিক চলে যাবার পর আফিফের সঙ্গে জুটি বাঁধেন সৌম্য। কিন্তু আফিফের বিদায়ও দেখতে হয় সৌম্যকে। ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন আফিফ।
মুশফিকের মতো টানা ব্যর্থতার উদারহণ দিয়ে যাচ্ছেন জাতীয় দলের তরুণ তুর্কি শামীম পাটোয়ারী। ৮ বলে মাত্র ৫ রান করতে পারেন তিনি।
শেষদিকে শেখ মেহেদী হাসানের ১২ বলে ১৬ ও তাসকিন আহমেদের ৪ বলে ৪ রান করলে সুবাদে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৪৭ রান তুলে বাংলাদেশ।
শ্রীলংকার হয়ে দুশমন্থ চামিরা সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন।
বাংলাদেশ একাদশ : লিটন দাস (অধিনায়ক), নাঈম শেখ, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, আফিফ হোসেন ধ্রুব, নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শামীম হোসেন পাটোয়ারি, তাসকিন আহমেদ, শেখ মেহেদী হাসান, নাসুম আহমেদ ও শরিফুল ইসলাম।
শ্রীলঙ্কা একাদশ : কুশল পেরেরা (উইকেটরক্ষক), অভিষকা ফার্নান্দো, ভানুকা রাজাপক্ষে, দাসুন শানাকা (অধিনায়ক), ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, চামিকা করুনারত্নে, দুশমন্থ চামিরা, মাহিষ থিকশানা, দীনেশ চান্দিমাল, লাহিরু কুমারা, পাথুম নিসাঙ্কা।
সোনালীনিউজ/এমটিআই