ঢাকা: সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাটসম্যান হিসেবে ভারতীয় অধিনায়ক ও পাকিস্তানের অধিনায়কের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা চলে সব সময়। ব্যাটসম্যান হিসেবে তারা নিজ নিজ দেশের সেরা।
র্যাঙ্কিংয়ে একে অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার তাড়না আছে। দুজনই উইকেটে থাকলে রান নিয়ে ভাবতে হয় না দলকে। সুযোগ পেলে দর্শকেরাও খোঁজেন তাদের মধ্যে মিল-অমিল। তবে দুজনের মধ্যে পার্থক্য কী, এই প্রশ্নই বোধ হয় বেশি জনপ্রিয়।
কাল ম্যাচ–পূর্ববতী সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের ব্যাটিং পরামর্শক ম্যাথু হেইডেনকেও প্রশ্ন করা হয়েছিল, কোহলি ও বাবরের মধ্যে পার্থক্য কী, মাঠে দুজনের বৈশিষ্ট্যের বিবেচনায় দুজনকে ভিন্ন প্রকৃতির মানুষ বলেছেন হেইডেন। তার মতে, কোহলি মাঠে খুবই আগ্রাসী আর বাবর খুবই ঠান্ডা মেজাজের।
ওয়ানডে দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বিরাট কোহলির অভিষেক হয় ২০০৮ সালে। একই ফরম্যাট দিয়ে ২০১৫ সালে বাবর আজমের অভিষেক। বাবরের অভিষেকের আগেই বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে প্রমাণ করে ফেলেছেন কোহলি। ক্রিকেট ক্যারিয়ারে নিজেদের বয়স, রেকর্ড, পরিসংখ্যান, অর্জন, প্রাপ্তিতে তাদের মধ্যে তুলনা হওয়ার কথা নয়।
হেইডেন পার্থক্যটা করলেন এভাবে, ‘বাবরকে আপনি যেমনটা দেখছেন, তার ব্যক্তিত্বও সে রকম। ও খুবই ধারাবাহিক। খুবই স্থির। খুব বেশি দেখনদারি ওর মধ্যে নেই। আসলে আমি বলতে চাই, ওর ব্যক্তিত্ব কোহলির বিপরীত-যে কিনা (কোহলি) মাঠে সব সময়ই খুব উচ্ছল, আবেগী ও প্রাণচঞ্চল।’
এরপর বাবর সম্পর্কে আরেকটু খোলাসা করেন বললেন, ‘নিজের মানসিকতার ওপর ওর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। ওর প্রতিভা সম্পর্কে শুধু একটা দিক বলি, আমার চোখে ওর মতো করে উইকেটে প্রতিটি বল মোকাবিলা অন্য কেউ করতে পারে না। ও অন্যান্য ব্যাটসম্যানের চেয়ে দ্রুত বলের লাইন ও লেংথ বুঝতে পারে। এটাই খুব ভালো একজন খেলোয়াড়ের বৈশিষ্ট্য।’
চলতি বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ছন্দে আছেন বাবর। ৫ ম্যাচে চারটি হাফ সেঞ্চুরি। চলতি আসরে এখন পর্যন্ত ২৬৪ রান এসেছে তার ব্যাট থেকে।
সোনালীনিউজ/এআর