ঢাকা: বিপদে পড়ার পরও অস্ট্রেলিয়া পাল্টা আক্রমণটা করেছিল মূলত ওয়ার্নার। ৩০ বলে ৪৯ রান করে পাকিস্তানের সংগ্রহটা তাড়া করছিলেন তিনি। কিন্তু ১১তম ওভারেই হঠাৎ ছন্দপতন।
কিন্তু লেগ স্পিনার শাদাব খানের বলেই ওয়ার্নার করে বসেন ভুলটা। শাদাব খানের গুগলিতে পরাস্ত হলেন ওয়ার্নার। জোরালো আবেদনে সাড়া দিলেন আম্পায়ার। ক্যাচ আউট হয়ে ফিরে গেলেন ওয়ার্নার।
পরে রিপ্লেতে দেখা গেল, বল ব্যাটেই লাগেনি ওয়ার্নারের। সেটা ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ার্নারেরই বোঝার কথা ছিল। তখনো দুটি রিভিউ বাকি ছিল অস্ট্রেলিয়ার। তবু আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলানোর চেষ্টা করেননি ওয়ার্নার। আউট হয়েছেন ধরে নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। সবার মনেই প্রশ্ন জেগেছে, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কেন রিভিউ নেননি ওয়ার্নার?
এ নিয়ে জিজ্ঞাসা করার জন্য ম্যাচ শেষে অস্ট্রেলিয়া তারকাকে অবশ্য পাননি সংবাদকর্মীরা। তবে ওয়ার্নারের হয়ে জবাবটা দিয়েছেন ম্যাচ উইনার ম্যাথু ওয়েড। তিনি ব্যাপারটিকে খুব বড় করে দেখার বিরোধী। তবে ওয়েড স্বীকার করেছেন টি–টোয়েন্টি সংস্করণে যেহেতু দুটি রিভিউ নেওয়া যায়, তাই প্রতিটি দল ও প্রতিটি খেলোয়াড়েরই উচিত সেটিকে সতর্কতার সঙ্গে কাজে লাগানো, ‘ওই পরিস্থিতিটা খুবই কঠিন। বাইরে থেকে আসলে বোঝার উপায় নেই। অনেক সময় ব্যাটসম্যানরা এসব বুঝে উঠতে পারেন না। এমন ভুল হতেই পারে। এ নিয়ে আমরা খুব বেশি কথা বলার সুযোগ পাইনি। শুধু দু-একটা মন্তব্য করেছি।’
ওয়েড অবশ্য জানিয়েছেন, কেবল ওয়ার্নারই নন, ননস্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও ব্যাপারটা ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারেননি, একটা শব্দ হয়েছিল। ওয়ার্নার আসলে পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারেনি। সে অবশ্য মনে করেছিল বল ব্যাটে লাগেনি। ননস্ট্রাইকিং প্রান্তে থাকা ম্যাক্সওয়েল কিছু একটা শুনেছিল। ওরও দোষ নেই। বলের কাছে তখন কেবল ব্যাটই ছিল। সে হয়তো মনে করেছে বল ওয়ার্নার ব্যাট ছুঁয়ে গেছে।
ম্যাক্সওয়েলের এই ‘ভুল শোনা’কে বড় কারণই মনে করছেন ওয়ার্নার, ‘এমন মুহূর্তে ব্যাটসম্যান অনেক কিছুই বুঝতে পারে না। সে জন্য অপর প্রান্ত থেকে একটা নিশ্চয়তার প্রয়োজন হয়। ওয়ার্নারের ক্ষেত্রে সেটি হয়নি। কিন্তু ম্যাক্সিও শব্দ শুনেছে, আশা করি পরের ম্যাচে (ফাইনালে) এমন কিছু হবে না। ব্যাপারটা হলো, এই সংস্করণে আমরা দুটি রিভিউ পাই, তাই বলতেই পারেন, আমাদের ব্যবহার করা দরকার ছিল। কিন্তু মাঝেমধ্যে এমন হয়।’
সোনালীনিউজ/এআর