ঢাকা : আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে জাদুকরী বোলিং করেছেন বাংলাদেশী পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। বিশেষ করে শেষ ওভারে মাত্র ১ রান খরচায় তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। শুরুটাও ভালো ছিল। প্রথম ওভারে দেন মাত্র ২ রান। শেষ ওভারে এসে তো রীতিমত চোখ ধাঁধানো বোলিং করলেন মোস্তাফিজুর রহমান। কলকাতা নাইট রাইডার্স ইনিংসের ২০তম ওভারে নিতে পারলো মাত্র ২ রান। মোস্তাফিজ এক ওভারেই নিলেন ৩ উইকেট।
টাইগার কাটার মাস্টারের দারুণ বোলিংয়ে কলকাতার পুঁজিটা তেমন বড় হলো না। ৯ উইকেটে ১৪৬ রানেই থামলো শ্রেয়াস আয়ারের দল। অর্থাৎ জিততে হলে মোস্তাফিজদের করতে হবে ১৪৭ রান।
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আজ টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি ক্যাপিটালস। প্রথম ওভারেই মোস্তাফিজুর রহমানের হাতে বল তুলে দেন অধিনায়ক রিশাভ পান্ত। ফিজও পাওয়ের প্লের শুরুটা করেন দুর্দান্ত। ওই ওভারে দেন মাত্র ২ রান।
পরের ওভারে আরেক বাঁহাতি চেতন সাকারিয়াকে ডাকেন পান্ত। দিল্লির হয়ে আজই প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা সাকারিয়া নিজের প্রথম ওভারেই পান উইকেটের দেখা। ওভারের তৃতীয় বলে বোল্ড করেন অ্যারন ফিঞ্চকে। ২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে মাত্র ৬ রান তুলতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স।
শুরুর সেই ধাক্কা সামলে ওঠা কঠিন হয়ে যায় কলকাতার ৩৫ রানে ৪ উইকেট হারালে। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে অক্ষর প্যাটেল সাজঘরে ফেরান ভেঙ্কটেশ আয়ারকে (৬)।
অষ্টম ওভারে কুলদ্বীপ যাদব টানা দুই বলে তুলে নেন বাবা ইন্দ্রজিত (৬) আর সুনিল নারিনকে (০)। এলবিডব্লিউ হওয়া নারিন অবশ্য রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেননি।
ভীষণ বিপদে পড়া দলকে এরপর টেনে তোলার দায়িত্ব নেন শ্রেয়াস আয়ার আর নিতিশ রানা। পঞ্চম উইকেটে ৩৩ বলে ৪৮ রান যোগ করা এই জুটিটি ১৪তম ওভারে এসে ভাঙেন দারুণ বোলিং করা কুলদ্বীপ।
শ্রেয়াসের (৩৭ বলে ৪২) ব্যাটে হালকা করে বল ছুঁয়ে গেলে উইকেটের পেছনে দারুণ এক ক্যাচ নেন পান্ত। ওই ওভারেই দুই বল পর আন্দ্রে রাসেলও (০) ডাউন দ্য উইকেটে গিয়ে পড়েন স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে। ৮৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে কলকাতা।
এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে ঝড় তুলেন নিতিশ রানা। ১৮তম ওভারে শেষ স্পেল করতে এসে মোস্তাফিজ দুই বাউন্ডারিসহ দেন ১০ রান। পরের ওভারের প্রথম বলে শার্দুল ঠাকুরকে ছক্কা হাঁকিয়ে ৩০ বলে ফিফটি তুলে নেন রানা।
বাঁহাতি এই ব্যাটারকে শেষ পর্যন্ত আউট করেন মোস্তাফিজই। ইনিংসের শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে রিংকু সিংকে (১৬ বলে ২৩) রভম্যান পাওয়েলের ক্যাচ বানান ফিজ। পরের বলটা পায়ে লাগিয়ে কোনোমতে এক রান নেন উমেশ যাদব।
চতুর্থ বলে মোস্তাফিজকে তুলে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে সাকারিয়ার দারুণ ক্যাচ হন রানা। ৩৪ বলে ৩ বাউন্ডারি আর ৪ ছক্কায় বাঁহাতি এই ব্যাটার করেন ৫৭ রান। পরের বলে দুর্দান্ত এক ইয়র্কারে টিম সাউদিকে বোল্ড করেন মোস্তাফিজ।
ছিল হ্যাটট্রিকের সুযোগও। কিন্তু শেষ বলটা ওয়াইড ইয়র্কার পড়লে নতুন ব্যাটার হর্ষিত রানা ব্যাটে নাগালেই নিতে পারেননি। ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে মোস্তাফিজ নেন ৩ উইকেট। ১৪ রানে ৪ উইকেট নেন কুলদ্বীপ যাদব।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ