ঢাকা : ঢাকা টেস্টে রীতিমত দুঃস্বপ্নের সূচনা হয়েছে বাংলাদেশের। লঙ্কান বোলারদের তোপে উইকেটে আসা যাওয়ার মধ্যেই ছিলেন টাইগার দলের টপঅর্ডাররা। ২৪ রানে নেই ৫ উইকেট। তবে ভয়াবহ সেই বিপর্যয় থেকে দলকে টেনে তোলার যথাসাধ্য চেষ্টা করছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা লিটন দাস ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম। এই যুগলের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ানোর আশা দেখছে স্বাগতিক দল।
দেখেশুনে লঙ্কান বোলিং আক্রমণ সামলাচ্ছেন লিটন-মুশফিক। কোনো ধরনের ঝুঁকি নিচ্ছেন না। তাই রান তোলার গতিও কমে গেছে। তবে বিপর্যয়ের মুখে উইকেটের স্রোতে বাধ দেওয়া গেছে, এটাই বড় স্বস্তি বাংলাদেশের।
ষষ্ঠ উইকেটে এখন পর্যন্ত ১৬.১ ওভার খেলে ৪২ রান যোগ করেছেন লিটন-মুশফিক। ৫ উইকেটে ৬৬ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে গেছে বাংলাদেশ। বিরতির পর আবার ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ।
শেষ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশে সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৮৩ রান। লিটন ৩৩ আর মুশফিক ৩৩ রানে অপরাজিত আছেন।
এর আগে খেলা শুরু হতে না হতেই ধাক্কা। টস জিতে ব্যাটিং করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদুল হাসান জয়।
লঙ্কান পেসার কাসুন রাজিথার বলে ব্যাট প্যাডের ফাঁক গলে বোল্ড হয়েছেন জয় (০)। এরপর অভিজ্ঞ তামিম ইকবালও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। আসিথা ফার্নান্ডোর বলে লেগ সাইডে খেলতে গেলে উল্টোদিকে বল উঠে যায়, জয়াবিক্রমের দুর্দান্ত ক্যাচ হন এই ওপেনার (০)।
মুমিনুল হক আরও একবার আউট হয়েছেন দশের নিচে। ৯ রান করে আসিথা ফার্নান্ডোর বলে উইকেটরক্ষককে ক্যাচ দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। এ নিয়ে টানা ছয় ইনিংসে দশের নিচে সাজঘরে ফিরলেন তিনি।
আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল নাজমুল হোসেন শান্তকে। কিন্তু মুমিনুল ফেরার পরের ওভারেই রাজিথা বোল্ড করেন বাঁহাতি এই ব্যাটারকে (৮)। পরের বলে এলবিডব্লিউ হন সাকিব আল হাসান (০)। রিভিউ নিয়েছিলেন, কিন্তু আম্পায়ার্স কলে সাজঘরে ফিরতে হয়েছে তাকে।
বাংলাদেশ একাদশ: তামিম ইকবাল, মাহমুদুল হাসান জয়, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, লিটন দাস, সাকিব আল হাসান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, ইবাদত হোসেন, খালেদ আহমেদ ও তাইজুল ইসলাম।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: দিমুথ করুণারত্নে, ওশাদা ফার্নান্দো, কুশল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুউজ, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, দিনেশ চান্দিমাল, নিরোশান ডিকাভেলা, রামেশ মেন্ডিস, প্রবীন জয়াবিক্রমা, কাশুন রাজিথা, আশিথা ফার্নান্দো।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ