ঢাকা : বিরাট কোহলি ক্যারিয়ারে কী কী জেতেননি! ক্যারিয়ারের শুরুতেই বিশ্বকাপ জিতেছেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিও আছে তার নামের পাশে। শুধু আইপিএলটাই রয়ে গেছে তার অপূর্ণতা হিসেবে। ক্যারিয়ারে খেলেছেন শুধু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুতে, তার দলের আইপিএল স্বপ্নও পূরণ হয়নি কখনো। সেই স্বপ্ন এবার গ্রুপ পর্বেই ভেঙে যেতে বসেছিল, তবে কোহলিরা সেই শঙ্কা বিদায় করে এসেছেন প্লে অফে।
তাইতো ২০৭ রান করার পরই রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। তবুও, টি-টোয়েন্টি বলে কথা। ২০৭ রানও অনেক সময় যথেষ্ট নাও হতে পারে। তবে, শেষ মুহূর্তে স্লগ ওভারে এসে বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং লখনৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে ব্যাঙ্গালুরুকে ১৪ রানের অসাধারণ এক জয় এনে দিয়েছে।
আইপিএলে এবারই নিজেদের প্রথম আসর লখনৌ সুপার জায়ান্টসের। আরেক অভিষিক্ত দল গুজরাট টাইটান্স তো এরই মধ্যে ফাইনালে উঠে বসে আছে। লখনৌও ছিল ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে। কিন্তু একদিকে রজত পাতিদারের অসাধারণ সেঞ্চুরি আর হ্যাজলউড আর হার্শাল প্যাটেলদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ের কাছে হারতে হলো লখনৌকে।
এই হারের ফলে বিদায় নিতে হলো লখনৌকে। আর জিতে কোয়ালিফায়ার-২ এ রাজস্থান রয়্যালসের মুখোমুখি হবে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। ওই ম্যাচের বিজয়ী দলই খেলবে ফাইনালে।
২০৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৩ রানে থেমে যেতে হয়েছে লখনৌকে। শুরুতেই কুইন্টন ডি ককের উইকেট হারানোরটা তাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতিকর হিসেবে দাঁড়িয়েছে। ডি ককের উড়ন্ত সূচনা লখনৌকে অনেক ম্যাচেই জয় এনে দিয়েছে। কিন্তু এই ম্যাচে ৫বলে ৬ রান করে আউট হয়ে যান তিনি।
এরপর মনন ভোরাকে নিয়ে ইনিংস ধরেন অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। ১১ বলে ১৯ রান করে আউট হন মনন ভোরা। দিপক হুদাকে নিয়ে ৯৬ রানের জুটি গড়েন লোকেশ রাহুল। ২৬ বলে ৪৫ রান করে আউট হন হুদা। ১টি বাউন্ডারি আর ৪টি ছক্কার মার মারেন তিনি।
১২ বলে যখন ৩৩ রান লাগবে তখন বোলিংয়ে আসেন জস হ্যাজলউড। তার বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে স্কুপ করতে গিয়ে স্কয়ার লেগে শাহবাজ আহমেদের হাতে ধরা পড়েন লোকেশ রাহুল। ৫৮ বলে খেলা ৭৯ রানের ইনিংসটি আর কোনো কাজেই আসলো না। এভিন লুইস বিধ্বংসী ব্যাটার হওয়া সত্বেও ব্যাটেই যেন বল লাগাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১৯৩ রানেই থামতে হলো লখনৌকে। জস হ্যাজেলউড নেন ৩ উইকেট।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ