ঢাকা : বাংলাদেশ দলে জস বাটলার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েলদের মতো টি-টোয়েন্টি মানের ক্রিকেটার যেমন দলে নেই, তেমনি তাদের মতো শারীরিকভাবে সামর্থ্যবান খেলোয়াড়ের অভাব এই ফরম্যাটে। উইন্ডিজের বিপক্ষে কুড়ি ওভারের সিরিজ শুরুর আগে যা নতুন করে ভাবাচ্ছে বাংলাদেশ দলকে। তবে দলে যারা আছেন, তাদের ওপর আস্থা রাখছেন টাইগারদের ব্যাটিং পরামর্শক জেমি সিডন্স। তাদের নিয়ে ভিন্ন কৌশলে হাঁটার পরিকল্পনা এই অস্ট্রেলিয়ান কোচের।
কেননা টেস্ট ক্রিকেটের কৌশল যদি হয়, বল দেখ এবং ছাড়ো। তাহলে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের কৌশল নিশ্চয়ই, বল দেখ এবং মারো। তবে ছাড়ার আর মারার প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশ দল অন্যদের থেকে যেন বেশ পিছিয়ে। টেস্টে যেন প্রতিটি বলেই রান চাই, টি-টোয়েন্টিতে সে তুলনায় ডট বলের সংখ্যা ঢের। কুড়ি ওভারের ফরম্যাটে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেয় ডট বল। সঙ্গে পাওয়ার হিটারের অভাব বেশ জোরালো।
উইন্ডিজের সংবাদমাধ্যমকে সিডন্স বলেন, ‘জাতি হিসেবে আমার মনে হয় না আমাদের খুব দীর্ঘকায় গড়নের খেলোয়াড় রয়েছে। যেমন জস বাটলার, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, মার্কাস স্টয়নিসদের মতো বড়সড় দৈহিক গড়ন আমাদের নেই। আমাদের অন্যভাবে উপায় খুঁজতে হবে। আমরা দৈহিক গড়নে অন্য দলগুলোকে পেছনে ফেলতে পারবো না।’
ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে ২ ও ৩ জুলাই প্রথম দুই টি-টোয়েন্টি হবে ডোমিনিকায়। ৭ জুলাই গায়ানায় অনুষ্ঠিত হবে শেষ টি-টোয়েন্টি। এই সিরিজ শুরুর আগে নিজেদের ভাবনার কথা জানিয়েছেন সিডন্স।
সিডন্সের ব্যাখ্যা, ‘আমার মতে, আমাদের বোলিং বিভাগ খুব ভালো। আমার মনে হয় না, আমাদের অনেক বেশি রান করতে হবে। বোর্ডে একটা ভালো সংগ্রহ দাঁড় করাতে হবে। সিঙ্গেল অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। তবে পাওয়ার হিটিং অবশ্যই টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জেতায়। যত বেশি বাউন্ডারি, তত বেশি ম্যাচ জেতা যায়। তাই আমাদের পাওয়ার হিটিংয়ে মনোযোগ দিতে হবে, ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে।’
সঙ্গে যোগ করেন সিডন্স, ‘অনেক চার মারতে হবে। আপনি জানেন এটি (চার) অনেকগুলো ছক্কা মারার মতোই। আমরা যদি অনেক চার মারতে পারি, অনেক সিঙ্গেল নিতে পারি, পাশাপাশি কিছু ছক্কা হাঁকালে আমরা বোর্ডে ভালো স্কোর দিতে পারব। এরপর আমাদের বোলিং আক্রমণ বাকিটা সামলে নিতে পারবে। আমাদের ম্যাসিভ স্কোর করতে হবে না।’
বাংলাদেশ দল সবশেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেই সফরে খণ্ডকালীন পাওয়ার হিটিং কোচ হিসেবে অ্যালবি মরকেলকে নিয়োগ দিয়েছিল বিসিবি। এই দক্ষিণ আফ্রিকানের সঙ্গে কাজ করে ব্যাটসম্যানরা উপকৃত হয়েছিলেন বলে শোনা যায়। তবে তাকে পাকাপাকিভাবে নিয়োগ দেওয়ার পক্ষে নয় বোর্ড। পাওয়ার হিটিং কোচের প্রসঙ্গে সিডন্সকেই যোগ্য হিসেবে দাবি করা হয়েছে বোর্ডের তরফ থেকে। তবে প্রশ্ন হলো সিডন্সের কী সেই সামর্থ্য আছে?
সিডন্স হ্যাঁ সূচক উত্তর দিয়ে বললেন, ‘আমি মনে করি, আমার সেই সামর্থ্য রয়েছে। কিন্তু এখানে আসার পর মাত্র ৫টি ট্রেনিং সেশন হয়েছে। এর বাইরে সব ম্যাচ এবং ট্রাভেলিং। পাওয়ার হিটিংয়ের স্কিল আয়ত্ব করতে অনেক বেশি ট্রেনিং সেশন প্রয়োজন। আমার এটি প্রয়োজন। ট্রেনিংয়ে আরও বেশি সময় দিয়ে দেখতে হবে খেলোয়াড়দের স্কিলে পরিবর্তন আনা যায় কি না।’
সোনালীনিউজ/এমএএইচ