ঢাকা : শুরুতে গোল হজম করলেও লিওঁর গোলরক্ষক এন্থনি লোপেস পরে হয়ে উঠলেন যেন চীনের প্রাচীর। একাধিকবার হতাশ করলেন মেসি, নেইমার ও কিলিয়ান এমবাপেকে। সুযোগ কম পাননি লিওঁর খেলোয়াড়রা। তবে গোলমুখে নিদারুণ ব্যর্থতাতেই হার এড়াতে পারেনি তারা।
তবে নেইমারের সঙ্গে দুর্দান্ত বোঝাপড়ায় শুরুতেই ঠিকানা খুঁজে নিলেন লিওনেল মেসি। পরে ম্যাচ জুড়ে দুই দলই নষ্ট করল অনেক সুযোগ। কখনও বাধা হয়ে দাঁড়ালেন দুই গোলরক্ষক, আবার কখনও শট থাকল না লক্ষ্যে। অলিম্পিক লিওঁর বিপক্ষে প্রাণবন্ত লড়াইয়ে মেসির একমাত্র গোলেই জিতল পিএসজি।
লিগ ওয়ানের ম্যাচে রোববার ১-০ গোলে জিতেছে ক্রিস্তফ গালতিয়ের দল।
প্রতিপক্ষের মাঠে ৬৬ শতাংশ সময় বল দখলে রাখা পিএসজি গোলের জন্য শট নেয় ১৫টি, এর আটটি ছিল লক্ষ্যে। লিওঁর ১২ শটের কেবল তিনটি ছিল লক্ষ্যে।
ঢিমেতালে শুরু হওয়া ম্যাচের পঞ্চম মিনিটেই এগিয়ে যায় পিএসজি। লিওঁর কয়েকজন ডিফেন্ডারকে ব্যস্ত রেখে নেইমারকে খুঁজে নেন মেসি। ব্রাজিলিয়ান তারকার কাছ থেকে বল ফিরে পেয়ে অনায়াসে বাকিটা সারেন তিনি।
চলতি আসরে এ নিয়ে চারটি গোল করলেন আর্জেন্টিনা অধিনায়ক।
চতুর্দশ মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলটি প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন মেসি। কর্নারের বিনিময়ে কোনোমতে ঠেকান লিওঁর গোলরক্ষক লোপেস। পরের মিনিটে তিনি হতাশ করেন এমবাপেকে।
পিএসজির আক্রমণের তোড়ে নিজেদের অর্ধ ছেড়ে বের হতে পারছিল না লিওঁ। তবে গুছিয়ে নেওয়ার পর দারুণ কিছু প্রতি-আক্রমণে সফরকারীদের কাঁপিয়ে দেয় তারা।
২১তম মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ হাতছাড়া করেন আলেকসঁদ লাকাজেত। কোরোঁতাঁ তোলিসোর অসাধারণ ক্রসে বিস্ময়করভাবে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। পরের মিনিটে কার্ল তোকো একাম্বির শট ঠেকিয়ে দেন পিএসজি গোলরক্ষক জাইলুইজি দোন্নারুম্মা।
এরপর আবারও কিছুক্ষণ পিএসজির দাপট চলে, তাদের আক্রমণের ঝাপটা সামলে ভালো তিনটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে লিওঁ। ২৮ ও ৩০তম মিনিটে একটুর জন্য একাম্বির শট থাকেনি লক্ষ্যে। এর মাঝে তার পাস থেকে লাকাজেতের শট ব্যর্থ করে দেন দোন্নারুম্মা।
৪০তম মিনিটে প্রতি-আক্রমণে নিজেদের অর্ধ থেকে এমবাপেকে বল বাড়ান মেসি। ফরাসি ফরোয়ার্ড গোলের জন্য শট না নিয়ে ডি-বক্সে দেন নুনো মেন্দেসকে। তিনি শট নিতে পারেননি, প্রতিপক্ষের বাধায় পেয়ে যান মেসি। কিন্তু তার শট ব্লক করে ব্যবধান বাড়তে দেননি লিওঁর এক খেলোয়াড়।
তিন মিনিট পর ডি-বক্সের মাথা থেকে নেইমারের শট দারুণ দক্ষতায় ব্যর্থ করে দেন লোপেস।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই দ্বিগুণ হতে পারত ব্যবধান। মেন্দেসের ক্রসে মেসির শট গোললাইন থেকে ফিরিয়ে দেন লুকেবা।
৭২তম মিনিটে নেইমারের ব্যর্থতায় নষ্ট হয় দারুণ সুযোগ। এমবাপের কাট ব্যাকে বল পেয়ে গোলরক্ষককে এড়াতে পারেননি ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড। আলগা বল বিপদমুক্ত করেন নিকোলাস তাগলিয়াফিকো।
পরের মিনিটে মুসা দেম্বেলের শট ঠিক মতো ফেরাতে পারেননি দোন্নারুম্মা। সুযোগ এসে যায় একাম্বির সামনে। গোলরক্ষকের মাথার উপর দিয়ে তার বল পাঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন মার্কিনোয়োস।
৭৮তম মিনিটে পিএসজির আরেকটি চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন লোপেস। এমবাপের কাছ থেকে বল পেয়ে কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নিতে চেয়েছিলেন মেসি, পার করতে পারেননি লিওঁ গোলরক্ষককে।
যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে মেসির দুর্দান্ত ফ্রি-কিক ফেরে ক্রসবারে লেগে। সতীর্থর পা ঘুরে ফিরতি বল হেডে জালে পাঠান সের্হিও রামোস। তবে অফসাইডের জন্য মেলেনি গোল।
৮ ম্যাচে সাত জয় ও এক ড্রয়ে ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান দৃঢ় করল পিএসজি। সমান ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে আছে মার্সেই।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ