ঢাকা : ফুটবল ক্যারিয়ারে অসংখ্য আবাহনী-মোহামেডান ম্যাচ খেলেছেন এবং জিতেছেন। তবে গতকাল আবাহনী লিমিটেডকে হারিয়ে মোহামেডানকে ফেডারেশন কাপ শিরোপা জেতানোটা কোচ আলফাজ আহমেদের কাছে স্পেশাল। কারণ কোচ হিসেবে যে এটাই তার প্রথম শিরোপা। একই সঙ্গে এই শিরোপাকে মোহামেডানের নতুন দিন শুরুর উপলক্ষ্যও মানছেন তিনি।
ফেডারেশন কাপের ফাইনালে মঙ্গলবার (৩০ মে) টাইব্রেকারে আবাহনীকে ৪-২ গোলে হারায় মোহামেডান। নির্ধারিত ও অতিরিক্ত সময়ের শেষ হয়েছিল ৪-৪ সমতায়। মোহামেডানের চারটি গোলই করেছিলেন সুলেমান দিয়াবাতে।
মোহামেডানের অন্তর্বর্তীকালীন কোচ আলফাজ ম্যাচ শেষে বলেন, ‘আজকের (গতকালের) খেলাটা অনেক বড় অর্জন। ব্যাকফুটে থেকে ফিরে আসা, ম্যাচ দেখে বোঝা যাচ্ছিল না কে জিতবে। দিয়াবাতে আসাধারণ ফুটবল খেলেছে। মুজাফ্ফারভের হাত ভেঙে দিয়েছিল, ওই অবস্থায়ও সে খেলা চালিয়ে গেছে। খেলোয়াড়দের কমিটম্যান্ট ছিল অসাধারণ। খেলোয়াড় হিসেবে আমি শিরোপা জিতেছি, এবার কোচ হিসেবে শীর্ষ পর্যায়ে প্রথম শিরোপা জিতলাম। তাই শিরোপাটাকেই আমি এগিয়ে রাখব।’
প্রথমার্ধে ২ গোলে পিছিয়ে পড়ার পরও হাল ছাড়েননি আলফাজ। শিষ্যদের শিখিয়েছেন মাথা ঠান্ডা রেখে পাল্টা জবাব দেওয়ার মন্ত্র, ‘প্রথমার্ধের খেলা শেষে শিষ্যদের বলেছি, তোমরা মাথা ঠান্ডা রেখে খেলো। তারা সেটাই করেছে।’
চোটে পড়ে মাঠ ছাড়া গোলকিপার সুজন সতীর্থ বিপুকে টাইব্রেকারে দারুণ পারফরম্যান্সের জন্য প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, ‘মাঠ ছাড়ার এক মিনিটের মধ্যে আবাহনী যখন গোল পরিশোধ করল, তখন ভীষণ খারাপ লাগছিল। মনে হচ্ছিল আমরা আর পারব না। তবে আমার ধারণা ভুল প্রমাণ করেছে বিপু। আমি তাই অনেক বেশি খুশি।’
ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়েই চলছে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান। নেতৃত্ব পরিবর্তন হয়েছে, তারপরও যেন ভাগ্যটা ফেরানো যাচ্ছিল না। পরাশক্তির তকমাটা খসে যায় গেল এক যুগে। লিগ শিরোপা তাদের কাছে শুধুই মরীচিকা। সাদা-কালোদের কাছে টুর্নামেন্টের শিরোপাও দূর আকাশের তারায় রূপ নিয়েছিল।
২০১৪ সালে স্বাধীনতা কাপ জেতার পর এই প্রথম তারা ঘরোয়া কোনো আসরে শিরোপা পেল। আলফাজ বলছেন, ‘এই ট্রফির মাধ্যমে মোহামেডান এগিয়ে যাবে ইনশা আল্লাহ।’
সোনালীনিউজ/এমটিআই