ঢাকা : তখন সবেমাত্র ২২-এ পা রেখেছিলেন। হুলিয়ান আলভারেজ দ্যুতি ছড়াচ্ছিলেন থাকেন ক্লাব ফুটবলে। রিভার প্ল্যাট থেকে নোঙর ভিড়ান ম্যানচেস্টার সিটিতে। সেখানেও ছুটছিলেন দুরন্ত গতিতে। তার পুরস্কার হিসেবে জায়গা পান কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার স্কোয়াডে। তখনও হয়তো ভাবেননি, তার জীবনে আসছে মধুর সময়। ডিসেম্বরে বিশ্বকাপ জয়ের ৭ মাসের মাথায় আরও তিনটি শিরোপার অংশীদার হলেন তিনি। শুধু তাই নয় নাম লিখিয়েছেন ইতিহাসের পাতায়।
এক মৌসুমে ইউরোপিয়ান শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট, লিগ আর ঘরোয়া কাপের সঙ্গে বিশ্বকাপ। এই চার ট্রফি জেতা ফুটবল ইতিহাসের প্রথম খেলোয়াড় হয়ে গেলেন আলভারেজ। ২৩ বছর বয়সী আলভারেজের আগে ৯ জন খেলোয়াড় এক মৌসুমে ইউরোপিয়ান কাপ বা চ্যাম্পিয়নস লিগ ও বিশ্বকাপ জয়ের কীর্তি গড়েছেন। কিন্তু তাদের মধ্যেই কেউই সেই একই মৌসুমে ক্লাবের হয়ে ঘরোয়া কাপ জিততে পারেননি।
ইস্তানবুলে কাল ফাইনালে মাঠে না নেমেই এই কীর্তি গড়া আলভারেজ একই মৌসুমে ইউরোপিয়ান ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া দশম খেলোয়াড়। যদি ইন্টার মিলান জিতত, তাহলে এই কীর্তি গড়তেন আরেক আর্জেন্টাইন লাওতারো মার্তিনেজ।
একই মৌসুমে ইউরোপিয়ান ও বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়া আগের ৯ খেলোয়াড়ের মধ্যে ৬ জন বায়ার্ন মিউনিখ ও জার্মান দলের। এই ৬ ফুটবলার কীর্তিটা গড়েছিলেন ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে। সেবার বায়ার্নের হয়ে তারা ইউরোপ সেরার মুকুট মাথায় পরার পর জার্মানির হয়ে জিতেছিলেন বিশ্বকাপ।
হানস-গিওর্গ সোয়ার্জেনবেক, জার্ড মুলার, উলরিখ হোয়েনেস, পল ব্রেইটনার, জোসেফ মায়ার ও ফ্রাঞ্জ বেকেনবাওয়াররা অল্পের জন্য একই মৌসুমে বিশ্বকাপ, লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ ও ঘরোয়া কাপ অল্পের জন্য জিততে পারেননি। ১৯৭৪ সালে বায়ার্ন ইউরোপিয়ান কাপ ও বুন্দেসলিগা জিতেছিল। কিন্তু জার্মান কাপের সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিল।
বাকি ৩ জন ভিন্ন ভিন্ন বছরে রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছেন। রিয়ালের হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পর ফ্রান্সের জার্সিতে ক্রিস্টিয়ান কারেম্বু বিশ্বকাপ জিতেছেন ১৯৯৮ সালে। ২০০২ সালে ব্রাজিলের রবার্তো কার্লোস আর ২০১৮ সালে ফ্রান্সের রাফায়েল ভারান এই কীর্তি গড়েন।
সোনালীনিউজ/এমটিআই