ঢাকা: ২০ বছর পর সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে মালদ্বীপকে হারাল বাংলাদেশ। সেই ২০০৩ সালে প্রথম ও সবশেষ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিল বাংলাদেশ। এতদিন পর এই প্রতিযোগিতায় দ্বীপ দেশটির বিপক্ষে প্রথম জয় পেল লাল-সবুজেরা। টিকে থাকল সেমি-ফাইনালের দৌড়ে। সংবাদ সম্মেলনে কোচ হাভিয়ের কাবরেরার কণ্ঠেও তাই মিশে রইল ‘দুর্দান্ত অর্জনের’ উচ্ছ্বাস।
বঙ্গবন্ধু সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে রোববার বেঙ্গালুরুর শ্রী কান্তিরাভা স্টেডিয়ামে মালদ্বীপকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুতেই পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর কঠিন পথ বেয়ে জয়টি এসেছে বলে কাবরেরার তৃপ্তি আরও বেশি।
“এটা আমাদের জন্য দুর্দান্ত অর্জন। আমরা সবাই জানি, ৩ পয়েন্ট পাওয়া আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ম্যাচটি আমরা এক পয়েন্ট পাওয়ার জন্য খেলতে পারতাম না, কেননা, এক পয়েন্ট আমাদের জন্য যথেষ্ট ছিল না। আমরা জানতাম, আমাদেরকে শক্তিশালী এবং খুবই আগ্রাসী হতে হবে এবং আমরা সেটাই হয়েছি।”
[201987]
“প্রথম গোলটি খাওয়ার পর বিষয়গুলো আগের মতো ছিল না। ছেলেরা অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়াল। এই জয়ের পুরো কৃতিত্ব তাদের। বিরতির সময় ড্রেসিংরুমে ফিরে ছেলেরা আরও বেশি নিজেদের মেলে ধরতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ ছিল এবং জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলাম আমিও।”
এমন জয়ের ম্যাচে কোচের চিন্তা বাড়িয়েছে তারিকের চোট পেয়ে মাঠ ছাড়া। তবে নির্ভরযোগ্য এই ডিফেন্ডারকে ভূটান ম্যাচে পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। প্রশংসা করলেন ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলা আরেক ডিফেন্ডার বিশ্বনাথ ঘোষেরও।
“মেডিকেল টিম পর্যবেক্ষণ করবে তারিকের অবস্থা। আশা করি, সে ভূটান ম্যাচের জন্য তৈরি হয়ে উঠবে। বিশ্বনাথ খুবই ভালো খেলেছে, সে লড়াকু ফুটবলার। তবে এই জয় দলীয় প্রচেষ্টার ফল। নির্দিষ্ট কারো পারফরম্যান্স দেখতে চাই না আমি, আমার চোখে সবাই সম্মিলিতভাবে লড়াই করেছে এবং সবাই কৃতিত্ব পাওয়ার যোগ্য।”
সোনালীনিউজ/এআর