ঢাকা : দুই দশক পর ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ। নিউক্যাসল ইউনাইটেডের সেন্ট জেমস পার্কের গ্যালারি ছিল দর্শকে ঠাসা। সমর্থকদের হতাশ করেননি ইংলিশ ক্লাবটির ফুটবলাররা। উজ্জীবিত ফুটবল খেলে শক্তিশালী পিএসজিকে স্রেফ উড়িয়ে দিল তারা।
চ্যাম্পিয়নস লিগে বুধবার রাতে কিলিয়ান এমবাপ্পেসহ আরও অনেক তারকা নিয়ে গড়া পিএসজিকে ৪-১ গোলে গুঁড়িয়ে দিয়েছে নিউক্যাসল। দলটির হয়ে একটি করে গোল করেন মিগেল আলমিরন, ড্যান বার্ন, সিন লংস্টাফ ও ফ্যাবিয়ান শার। ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের একমাত্র গোলদাতা হেরনান্দেস।
একটি করে জয় ও ড্রয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে ‘এফ’ গ্রুপে শীর্ষে নিউক্যাসল। বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের বিপক্ষে জেতা পিএসজি ৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে।
[208319]
২০০৩ সালের পর চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা পায় নিউক্যাসল। সেবার মার্চে বার্সেলোনার বিপক্ষে ২-০ গোলে হারের পর ঘরের মাঠে এটি তাদের প্রথম ইউরোপ সেরার লড়াইয়ের ম্যাচ।
ম্যাচের শুরুর পর আক্রমণের ফসরা মেলে ধরে পিএসজি। পরে পাল্টা আক্রমণ চালায় নিউক্যাসলও। জমে ওঠা লড়াইয়ে ১৭তম মিনিটে এগিয়ে যায় স্বাগতিকরা। আলেকজান্দার ইসাকের শট রুখে দেন পিএসজি গোলরক্ষক দোন্নারুম্মা। ফিরতি বল পেয়ে জালে পাঠান আলমিরন।
সমতা টানার চেষ্টায় মরিয়া পিএসজি প্রথমার্ধে খেয়ে বসে আরেকটি গোল। ৩৯তম মিনিটে দারুণ হেডে গোলটি করেন বার্ন। শুরুতে অফসাইডের বাঁশি বাজালেও শেষ পর্যন্ত গোলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। দোন্নারুম্মা অবশ্য ঠেকিয়ে দিয়েও ছিলেন বার্নের হেড। কিন্তু ততক্ষণে গোল পোস্টের লাইন অতিক্রম করে ফেলেছিল বল।
দ্বিতীয়ার্ধেও চলে দুই দলের আক্রমণাত্মক ফুটবল। সেখানেও শুরুতে গোল পায় নিউক্যাসল। ৫০তম মিনিটে পোস্টের কাছ থেকে নেওয়া লংস্টাফের জোরালো শট দোন্নারুম্মার হাতে লেগে জালে জড়ায়। ৬ মিনিট পর ব্যবধান কমানো গোলটি হেড থেকে করেন পিএসজির হেরনান্দেস।
দুই দলই আরও বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল। কিন্তু কাজে লাগেনি সেগুলো। ম্যাচের সবচেয়ে চোখধাঁধানো গোলটি আসে একেবারে শেষ সময়ে। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ডি বক্সের বাইরে থেকে জোরাল শটে জাল খুঁজে নেন শার।
উল্লাসে যেন ফেটে পরে নিউক্যাসলের মাঠ। আর একরাশ হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
এমটিআই