ঢাকা: হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে ভারতের দেওয়া ৩২৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ৮৩ রানে অলআউট হয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ইনিংসের ১৪তম ওভারের প্রথম বলে স্পিনার রবিন্দ্র জাদেজার বলে লেগ বিফোর (এলবিডব্লু) আউট হন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার রাসি ফন ডার ডুসেন।
এ আউট নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম (ডিআরএস) নিয়ে ভারত গোলমাল তৈরি করছে বলেও অভিযোগ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার হাসান রাজা।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচে ভারতীয় দলকে কোন ধরনের বল দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলকে (আইসিসি) সেটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে বলেছেন তিনি।
ডুসেনের প্যাডে বলে লাগলেও শুরুতে আম্পায়ার আউট দেননি। পরে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রিভিউ নেন ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ডিআরএসে দেখা যায়, বল লেগ স্ট্যাম্পের মাঝামাঝিতে আঘাত করছে। আর এই ডিআরএস নিয়েই জালিয়ৈতির অভিযোগ এনেছেন হাসান রাজা।
পাকিস্তানের টিভি চ্যানেল এবিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজা বলেন, এবারের বিশ্বকাপে ভারতের সাফল্যের মূল কারণ ডিআরএস নিয়ে জালিয়তি। উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি ফন ডার ডুসেনের আউটের কথা উল্লেখ করেন।
রাজা বলেন, ‘জাদেজা ক্যারিয়ার সেরা পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচ শেষ করেছেন। আমরা প্রযুক্তি নিয়ে বলছিলাম, যেখানে ডিআরএস নেওয়া হয়েছিলো। তখন ফন ডার ডুসেন ব্যাটার ছিলেন। বাঁ-হাতি স্পিনারের বল লেগ স্টাম্পে পিচ করার পর মিডল স্টাম্পে আঘাত করছিল। এটা কিভাবে সম্ভব?’
[210511]
‘আমরা প্রযুক্তির বিষয়ে কথা বলছিলাম। যেখানে ডিআরএস নেওয়া হয়েছিল। ডুসেন মূল ব্যাটার ছিল। বাঁ-হাতি স্পিনারের বল কীভাবে লেগস্টাম্পে পড়ে স্পিন করে স্টাম্পে যেতে পারে?
‘ইমপ্যাক্ট ইন লাইন বল ছিল। বলটা লেগস্টাম্পে যাচ্ছিল। এটা নিয়েই মানুষ নিজেদের মতপ্রকাশ করেছেন। আমিও আমার নিজের মতপ্রকাশ করছি। এই বিষয়গুলি খতিয়ে দেখা উচিত। ডিআরএস হেরফের করা হচ্ছে, এটি স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান’- তিনি যোগ করেন।
এরইমধ্যে ওই অনুষ্ঠানের সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, ‘তাহলে আপনি বলছেন যে ডিআরএস ম্যানিপুলেট (জালিয়াতি) করা হচ্ছে?’ সেই প্রশ্নের হাসান রাজা বলেন, ‘ডিআরএস ম্যানিপুলেট করা হচ্ছে। নিশ্চিতভাবে হচ্ছে। সেটা পুরো বোঝা যাচ্ছে। ডিআরএসের এরকম সিদ্ধান্ত প্রথমবার হল না। গত দুটি-তিনটি রিভিউয়ের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন। পাকিস্তানের কথা বলব আমি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ডিআরএস (ভুল) ছিল। শেষ উইকেটের জুটির সময় সেটা হয়েছিল। পাকিস্তানের পক্ষে কোনও সিদ্ধান্ত আসছে না। এটাই হোম অ্যাডভান্টেজ।’
সেইসঙ্গে ২০১১ সালের বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে শচিন টেন্ডুলকারও আউট ছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। যে অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার সাইদ আজমল। যার বলে ডিআরএসের ‘ক্লোজ কল’ থেকে রেহাই পেয়েছিলেন শচিন।
যার আউট নিয়ে হাসান রাজা অভিযোগ তুললেন, সেই ফন ডার ডুসেনও তার আউটে ডিআরএস নিয়ে ম্যাচ শেষে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেন।
এআর