ঢাকা: ১৫০ রানে জয়ী হওয়া প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ একাদশ সাজিয়েছিল তিন স্পিনার ও এক পেসার নিয়ে। মিরপুর টেস্টেও একাদশ বাছাইয়ে ক্ষেত্রে একই ব্যাপারগুলি প্রাধান্য পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ম্যাচের আগের দিন সেই ইঙ্গিতই দিলেন কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।
“দলীয় সমন্বয় নির্ভর করবে উইকেটের ওপর, আমাদের শক্তি ও তাদের সীমাবদ্ধতার ওপর। সিলেটে আমরা খুব ভালো ক্রিকেট খেলেছি। পাঁচ দিন ধরে সত্যিই লড়াই করেছি। আমাদের শক্তি ও সিলেটের কন্ডিশন অনুযায়ী আমরা সেখানে দলীয় সমন্বয় ঠিক করেছিলাম।”
মিরপুরে সমস্যা হলো, কোচ কিংবা দল উইকেটের সম্ভাব্য আচরণ নিয়ে পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। সিলেটের উইকেট স্পিন-বান্ধব থাকলেও সেটা একতরফা ছিল না। পেসারদের জন্যও যেমন সেই উইকেটে সহায়তা ছিল, তেমনি স্কিল ও নিবেদন দেখাতে পারলে যে রান করা সম্ভব, সেটিও দেখা গেছে।
সেই উইকেট দারুণ প্রশংসাও আদায় করে নিয়েছে। এমনকি নিউ জিল্যান্ড দলের প্রতিনিধি হয়ে যারাই সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন, উইকেট ‘ভালো’ বলে রায় দিয়েছেন সবাই।
[212690]
এই উইকেটেই হবে বাংলাদেশ-নিউ জিল্যান্ড টেস্ট। মিরপুরেও স্পিনারদের সহায়তা যথেষ্টই থাকার কথা। তবে সম্ভাব্য আচরণের খুঁটিনাটি নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে বলেই হয়তো একাদশে বড় পরিবর্তন হবে না বলে জানালেন কোচ।
“আপনারা যেমন জানেন, মিরপুরের উইকেট মাঝেমধ্যে বুঝে ওঠা কঠিন, এমনকি গোটা দুয়েক সেশন খেলার আগ পর্যন্ত (বোঝা যায় না)। এত বেশি ব্যস্ততায় থাকতে হয় এই উইকেটকে… আমার মনে হয় না বিশ্ব ক্রিকেটে আর কোনো ভেন্যুতে এত খেলা হয়। আমরা তাই ধারণা করতে পারছি না, কী হবে এখানে। আমরা চেষ্টা করব খুব বেশি পরিবর্তন না করতে।”
নিউ জিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদিও উইকেট সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি। তবে দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এসে অভিজ্ঞ এই পেসার বলেছেন, উইকেট স্পিন-বান্ধব হবে বলেই ধারণা করছেন তারা।
এআর