ঢাকা: সিলেটের পর ঢাকা টেস্টেও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ। সফরকারী কিউইদের বিপক্ষে যখন টাইগাররা সিরিজ জয়ের পরিকল্পনার ছক আঁকছেন তখনই ঘটল দুর্ঘটনা।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ইনডোরে ব্যাটিং অনুশীলনের সময় ডান হাতের তর্জনীতে বল লাগে অফ স্পিনার নাঈম হাসানের। সঙ্গে সঙ্গে তিনি নেট থেকে বেরিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন। এ সময় নাঈমের আঙুল দিয়ে রক্ত বের হচ্ছিল। এর পর তাকে আর অনুশীলন করতে দেখা যায়নি।
সিলেট টেস্টে কিউইদের ১৫০ রানে হারানোর ম্যাচে জয়ের নায়ক তাইজুলের সঙ্গে নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন নাঈম। দলের প্রয়োজনে ব্রেক থ্রুও এনে দিয়েছিলেন তিনি। মিরপুর টেস্টেও তৃতীয় স্পিনার হিসেবে তার খেলার কথা।
বোলিংয়ের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও যাতে দলের প্রয়োজনে অবদান রাখতে পারেন তাই নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করছিলেন নাঈম। এ সময় বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানার একটি বল আঘাত করে নাঈমের গ্লাভসে। সঙ্গে সঙ্গে ব্যথার তীব্রতায় তিনি হাতে থাকা ব্যাট ছুড়ে ফেলেন মাটিতে।
[212703]
তাতে করে শঙ্কা জেগেছে পরবর্তী টেস্ট ম্যাচে নাঈমের একাদশে থাকা নিয়ে। যদিও বিসিবির মেডিকেল টিমের পক্ষ থেকে ইনজুরির বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য এখনো পাওয়া যায়নি।
নিউজিল্যান্ড সিরিজ দিয়েই লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরেছেন নাঈম। এনসিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবেই সিলেট টেস্টের একাদশে সুযোগ পান নাঈম। কিউইদের হারানো ম্যাচের দুই ইনিংসে ৩ উইকেট শিকার করেন ডানহাতি এই স্পিনার।
নাঈমের পারফরম্যান্সে মুগদ্ধ কোচ হাথুরুসিংহে। তাই তো ম্যাচ পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সে এনসিএলের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। সে আত্মবিশ্বাস ও ছন্দ নিয়ে সিলেট টেস্টে খেলতে গিয়েছিল। ম্যাচেই তা প্রমাণিত হয়েছে। নিজের দায়িত্ব সে খুব ভালোভাবে পালন করেছে। কখনো আক্রমণ করেছে, কখনো রান থামিয়েছে। ব্যাটসম্যানদের মনে অনেক দ্বিধা সৃষ্টি করেছে। কেইন উইলিয়ামসনের মতো ব্যাটারকেও তার বল খেলতে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে।
এআর