ঢাকা: চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই নারীকে যৌন হেনস্তার অভিযোগে বার্সেলোনার একটি কারাগারে বন্দি আছেন দানি আলভেজ।
ফেব্রুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে ৪ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ বছর কারাদণ্ড হতে পারে। স্পেনে ধর্ষণের কোনো ঘটনা প্রথমে তদন্ত হয় সাধারণ যৌন নির্যাতনের অভিযোগ হিসেবে। পরে প্রমাণিত হলে শাস্তি নির্ধারণ হয়।
আগামী বছরের ৫ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি আলভেজের বিচার কার্যক্রম শুরুর কথা জানিয়েছে স্পেনের আদালত।
এর আগে গেল বছরের ডিসেম্বরে বার্সেলোনার একটি নাইট ক্লাবে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ আনা হয় আলভেজের বিরুদ্ধে। বাদী ওই নারীর অভিযোগ, তাকে ধর্ষণ করেছিলেন আলভেজ। এই অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের নির্দেশে জেলে প্রেরণ করে বার্সেলোনার পুলিশ।
স্পেনের গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, নাইটক্লাবে বন্ধুদের সঙ্গে ছিলেন ওই নারী। সম্মতি ছাড়াই আলভেজ তার অন্তর্বাসের নিচের দিকে স্পর্শ করেন। ওই নারীর অভিযোগ, বার্সেলোনার সাবেক এই ফুটবলার তাকে চড় মারেন এবং নাইট ক্লাবের বাথরুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন।
[213651]
শুরুতে অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন আলভেজ। স্থানীয় এক টিভি চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন ওই নারীকে তিনি চেনেন না। পরে আদালত তার বিরুদ্ধে ঘটনার প্রমাণ হাজির করলে তিনি স্বীকার করেন উক্ত নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কের কথা। তবে সেটা দুইজনের সম্মতিতে হয়েছিল বলে আলভেজের দাবি।
এই ঘটনার জেরে বিপর্যস্ত হয়ে ওঠে আলভেজের জীবন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর আলভেসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করে তার তখনকার ক্লাব পুমাস। বার্সেলোনা, জুভেন্টাস ও পিএসজির মতো ইউরোপের বড় ক্লাবে খেলা এই ডিফেন্ডারের সঙ্গে পরে সম্পর্ক ছিন্ন করে তার স্ত্রী জোয়ানা সানস।
ব্রাজিলের হয়ে দীর্হ ক্যারিয়ার আলভেজের। পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নদের হয়ে ১২৬ ম্যাচে মাঠে নেমেছেন এই ডিফেন্ডার। স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে কাটিয়েছেন দীর্ঘ সময়। জিতেছেন সব ধরণের শিরোপা। কাতার বিশ্বকাপে ক্যামেরুনের বিপক্ষে ম্যাচে ব্রাজিলের অধিনায়কত্ব করেন তিনি।
এআর