বিধ্বংসী বোলিংয়ে আবু হায়দারের ৫ উইকেট, বিপর্যয় দেখল বরিশাল

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৪, ০৮:২৯ পিএম

ঢাকা: ১২ ওভারের আগেই মাত্র ১ উইকেট হারিয়ে ১১০ রান তুলে ফেলেছিল ফরচুন বরিশাল। তবে ২০০ রানের স্বপ্ন দেখা দলটি থামে ১৫১ রানে। বরিশালকে এমন বিপর্যয়ে ফেলার কারিগর দীর্ঘদিন আলোচনার বাইরে থাকা পেসার আবু হায়দার রনি। রংপুর রাইডার্সের হয়ে বল হাতে আগুন ঝড়িয়েছেন তিনি। মাত্র ১২ রান দিয়ে একাই তুলে নিয়েছে ৫ উইকেট।

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শুরুটা দুর্দান্ত করে বরিশাল। ঘরের ছেলে তামিম ইকবাল চার-ছক্কায় মাতিয়ে রাখেন স্টেডিয়াম। দলীয় ৩৮ রানের মাথায় থামেন তিনি। ব্যক্তিগত প্রথম ওভারের প্রথম বলেই তাকে ফেরান সাকিব আল হাসান। ২০ বলে ৩৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। যেখানে ছিল ৩টি চার ও ২টি ছক্কার মার। 

তামিম ফিরলেও বরিশাল রান তুলছিল দারুণ গতিতে। দ্বিতীয় উইকেটে ৭২ রানের জুটি গড়েন টম ব্যান্টন ও কাইল মেয়ার্স। যদিও তাতে মেয়ার্সের অবদানই বেশি। ১২তম ওভারের চতুর্থ বলে ১১০ রানের মাথায় ফেরেন ব্যান্টন (২৬)। 

[217851]

এর পরের ওভারেই ধ্বংসযজ্ঞ চালান আবু হায়দার। শুরুটা মুশফিকুর রহিমকে দিয়ে। ইনিংসে আবু হায়দারের প্রথম ওভারের প্রথম বলেই উইকেটের পেছনে নুরুল হাসানের হাতে ক্যাচ দেন মুশফিক। দ্বিতীয় বল কোনোরকমে ঠেকালেও তৃতীয় বলে ফেরেন সৌম্য সরকার। তাকে সরাসরি বোল্ড করেন আবু হায়দার। পঞ্চম বলে আরও এক উইকেট। এবার দারুণ ব্যাট করতে থাকা কাইল মেয়ার্সকে দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত করেন আবু হায়দার নিজেই। ওই ওভারে মাত্র ১ রান দেন তিনি। 

হঠাৎ এমন বিপর্যয় আর সামলে উঠতে পারেনি বরিশাল। ১ উইকেটে ১১০ রান থেকে ১১৬ রানে ৫ উইকেটে পরিণত হওয়া দল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের ব্যাটে ভরসা খুঁজছিল। তবে নিজের দ্বিতীয় ওভারে এসে মাহমুদউল্লাহকেও শিকারে পরিণত করেন আবু হায়দার। তৃতীয় ওভারে মেহেদী হাসান মিরাজকে ফিরিয়ে পূর্ণ করেন ৫ উইকেট। 

১২৯ রানে ৮ উইকেট হারানো বরিশালকে দেড়শ পার করতে বড় ভূমিকা রাখেন সাইফুদ্দিন আহমেদ ও ওবেড ম্যাককয়। আটে নামা সাইফুদ্দিন ৯ বলে ১০ রান করে হাসান মাহমুদের বলে বোল্ড হন। আর ১২ বলে ১২ রানে অপরাজিত থাকেন ম্যাককয়। 

রংপুরের হয়ে আবু হায়দারের ৫ উিইকেট ছাড়াও দারুণ বল করেছেন হাসান মাহমুদ। ৪ ওভারে ৩১ রান খরচায় ২ উইকেট শিকার করেন তিনি। একটি করে উইকেট সাকিব আল হাসান ও জেমস নিশামের।

এমএস