ঢাকা : প্যারিসে প্রথম লেগে ৩-২ গোলে জয়ের পরও বার্সেলোনা কোচ জাভি বলেছিলেন, কোয়ার্টার ফাইনালে এখনো পিএসজিই ফেভারিট। কেনো বলেছিলেন তা প্রমাণ করল পিএসজি।
মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) ফিরতে লেগ কিলিয়ান এমবাপ্পের জোড়ায় ৪-১ গোলে জিতে প্যারিসিয়ানরা উঠে গেলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে।
তিন বছর আগে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শেষ ১৬'র প্রথম লেগে ন্যু ক্যাম্পের ফলাফল এমবাপ্পের জন্য প্রেরণার হয়ে থাকবে। সেই ম্যাচে প্রথমে লিওনেল মেসি গোল করে বার্সাকে এগিয়ে নিলেও হ্যাটট্রিক করে ৪-১ এ ম্যাচ জিতিয়েছিলেন এমবাপ্পে। ফিরতি পর্বে প্যারিসে গিয়ে সেই ব্যবধান মেসিরা আর ঘোচাতে পারেনি।
[221472]
মঙ্গলবারও এস্তাদি ওলিম্পিক লুই কোম্পানিস-এ ১২ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল বার্সেলোনা। লামিন ইয়ামালের দারুন মাইনাসে পা ছুইয়ে ৫০ হাজার দর্শককে উন্মাতাল করে তুলেছিলেন রাফিনহা।
কিন্তু সেই ম্যাচ কি করে ফেললো বার্সেলোনা! ২৯ মিনিটে ডিফেন্ডার রোনাল্ড আরাউহো বক্সের ভেতর ঢুকতে থাকা ব্র্যাডলি বারকোলাকে ট্যাকল করলে রুমানিয়ার রেফারি ইস্তভান কোভাকস সরাসরি লালকার্ড দেখান উরুগুয়ান ডিফেন্ডারকে। ভিএআর রেফারিও লালকার্ডের পক্ষেই সিদ্ধান্ত দেন।
আরাউহোর জায়গায় ইনিগো মার্তিনেজকে নামাতে জাভি তুলে নেন ইয়ামালকে। আর এই সিদ্ধান্ত ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় বার্সেলোনাকে। এর কিছুক্ষণ পরেই উসমান দেম্বেলে সমতা ফেরান পিএসজিকে।
[221460]
বিরতির পর ৫৪ মিনিটে বারকোলার অ্যাসিস্টে ভিতিনহা এগিয়ে নেন পিএসজিকে। এর পরপরই রেফারির এক সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে অ্যাডভারটাইজিং বোর্ডে লাথি মারায় জাভিকে লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেয়া হয়। এতে বার্সেলোনা আরো এলোমেলো হয়ে পড়ে। ৬১ মিনিটে কানসেলোর এক ফাউলে পেনাল্টি পায় পিএসজি। গোল করেন এমবাপ্পে।
৫-৪ এ পিছিয়ে পড়া বার্সার সেখান থেকে ফেরাই অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। তারওপর ৮৯ মিনিটে এমবাপ্পে আবার গোল করলে ম্যাচে ৪-১, আর সার্বিকভাবে ৬-৪ এ পিছিয়ে পড়া বার্সা ছিটকে পড়ে ম্যাচ থেকে। ২০১৮-১৯ এর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে ওঠার যে স্বপ্ন দেখছিল বার্সা সমর্থকরা, তার কবর রচিত হয়।
অন্য কোয়ার্টার ফাইনালে, প্রথম লেগে ১-২ গোলে পিছিয়ে পড়া বরুসিয়া ডর্টমুন্ড ঘরের মাঠে ফিরতি লেগ ৪-১ গোলে জিতে উঠে গেছে সেমিফাইনালে।
এমটিআই