ঢাকা: বিশ্বকাপ শেষে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ দল। সংবাদ মাধ্যমকে তাসকিন জানান, বিশ্বকাপে ‘তানজিম সাকিব, রিশাদ লিডিং উইকেট টেকারদের মধ্যে ছিল, টপ ফাইভে।
সব মিলিয়ে ভালো করেছে। এটা খুবই ইতিবাচক যে বাংলাদেশ থেকে ভবিষ্যতের তারকা উঠে আসছে। এর মধ্যে বিশ্বকে বোঝানো হয়েছে, আমাদের মধ্যে সামর্থ্য আছে।’
পরের কথায় আবার আফগানিস্তান ম্যাচের প্রসঙ্গ টেনেছেন তাসকিন, ‘এখন আসলে আমরা সবাই ব্যথিত, সমর্থকরাও। বিশেষ করে কয়েকটা ম্যাচ আমাদের জেতার কথা ছিল, পারিনি। শেষ ম্যাচটা আমরা ১২.১ ওভারে আমাদের সবারই পরিকল্পনা ছিল জেতার। আমরা সে ইনটেন্ট নিয়েই খেলা শুরু করেছি। একটা পর্যায়ে যখন দেখলাম যে হবে না ১২ ওভারে, তখন স্বাভাবিকভাবে জেতার চেষ্টা করা হয়, তারপর আমরা ওটাও চেষ্টা করে পারিনি।’
[226468]
বিশ্বকাপজুড়ে দুই অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহ ও সাকিব আল হাসানের ফর্মহীনতা দলকে ভুগিয়েছে সেই কথাও অকপটে স্বীকার করেছেন তাসকিন, ‘দুজন সিনিয়রের ফর্মে না থাকা অবশ্যই প্রভাব ফেলেছে। কিন্তু মাঠের বাইরে প্রভাব পড়েনি। ৪৭ দিন একসঙ্গে ছিলাম, সবাই একসঙ্গে ছিলাম। অফ দ্য ফিল্ডে সব ভালো ছিল। দলের গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়রা অফ ফর্মে থাকলে ওই দলে সমস্যা হওয়াটাই স্বাভাবিক। আশা করছি দ্রুত সামনে এসব কাটিয়ে উঠব।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সামগ্রিক উন্নতির প্রসঙ্গেও আশার কথা শুনিয়েছেন তাসকিন, ‘ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে। টি-টোয়েন্টিতে আমরা আগে থেকেই অনেক পিছিয়ে ছিলাম। সেখান থেকে উন্নতি তো হচ্ছে। শুধু মাইনাস পয়েন্ট দেখলে তো হবে না। এমনিতেই মাইনাসেই আছি। প্লাসে আসার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। করেই যাব। আপনারা হতাশ হচ্ছেন, স্বাভাবিক। আবার আমরা আপনাদের ভালো জয় উপহার দেব। বিশ্বাস রাখেন আমাদের ওপর।’
এআর