ঢাকা: এবারের ইউরোর সেমিফাইনালের পরপরই উয়েফা গোল্ডেন বুটের নতুন নিয়মের কথা সবাইকে জানিয়েছিল। যেখানে উঠে এসেছিল গোলসংখ্যায় যে এগিয়ে থাকবে, সেই গোল্ডেন বুট জিতবে। আর একাধিক সংখ্যক ফুটবলারের গোলের সংখ্যা সমান হলে সবাই যুগ্মভাবে গোল্ডেন বুট জিতবে।
সেই হিসেব অনুযায়ী একসঙ্গে ৬ জন জিতলেন ইউরোর গোল্ডেন বুট। প্রথমবারের মতো এত বেশি সংখ্যক গোল্ডেন বুটজয়ী ফুটবলার দেখলো ইউরো টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত তিন গোল করেছেন ছয়জন ফুটবলার।
স্পেনের দানি ওলমো ছাড়াও গোল্ডেন বুট পেয়েছেন ইংল্যান্ডের হ্যারি কেইন, জার্মানির জামাল মুসিয়ালা, নেদারল্যান্ডসের কোডি গাকপো, স্লোভেনিয়ার ইভান শারাঞ্জ ও জর্জিয়ার জর্জেস মিকাউতাদজে। ফাইনালে ওলমো বা কেইন গোল করলে পুরস্কারটা একাই নিয়ে যেতে পারতেন। কিন্তু দুজনের কেউই গোল পাননি।
এদিকে টুর্নামেন্ট সেরার লড়াইটা যে স্পেনের দুজনের মধ্যেই হবে, সেটা বোঝা যাচ্ছিল। ইংল্যান্ডের কেউ ঠিক ইউরোর সেরা খেলোয়াড় হওয়ার মতো খেলতে পারেননি এবার।
[227699]
আর ফাইনালের আগেই ঝরে যাওয়া দল থেকে কখনো ইউরোর সেরা খেলোয়াড় বেছে নেওয়ার নজিরও নেই। ফলে কিছুটা অনুমিতই ছিল যে, এবার স্পেনের রদ্রি কিংবা লামিনে ইয়ামালের মধ্যে যেকোনো একজন হবেন ইউরোর প্লেয়ার অব দ্য টুর্নামেন্ট। শেষ পর্যন্ত উয়েফার টেকনিকাল পর্যবেক্ষক কমিটি রদ্রিকেই বেছে নিয়েছে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে। ইয়ামালকে অবশ্য খালি হাতে ফিরতে হচ্ছে না। ইউরোর ট্রফির সঙ্গে তিনি জিতেছেন টুর্নামেন্টের সেরা তরুণ খেলোয়াড়ের পুরস্কারও।
বার্লিনে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে রোববারের ফাইনালে চোটের কারণে প্রথমার্ধের পর আর মাঠে নামতে পারেনি রদ্রি। তবে এর আগে পুরো টুর্নামেন্টে তিনি যেভাবে খেলেছেন, সেটাই তাকে সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বেছে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। স্পেনের মাঝমাঠের প্রাণ হয়ে ছিলেন তিনি, দলের খেলাটা আসলে তিনিই নিয়ন্ত্রণ করেছেন মাঠে। সব মিলিয়ে পুরো টুর্নামেন্টে ৫২১ মিনিট খেলে পাস দিয়েছেন ৪১১ টি, সফল পাসের হার ৯৩ শতাংশের মতো। গোলও করেছেন একটি।
ইয়ামাল তো এই ইউরোর বিস্ময়ই বলা যায়। একটা গোল করেছেন, করিয়েছেন চারটি। এক ইউরোতে তার চেয়ে বেশি গোল করাননি আর কোনো খেলোয়াড়।
এআর