ঢাকা: রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে চতুর্থ দিন শেষে বড় ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসে ৪৪৮ রানের জবাবে ৫৬৫ রানের পাহাড় গড়ে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। টাইগাররা লিড নেয় ১১৭ রানের।
জবাবে দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেটে ২৩ রান নিয়ে দিন শেষ করেছে পাকিস্তান। এখনও তারা পিছিয়ে ৯৪ রানে। সাইম আইয়ুবকে ১ রানে আউট করেছেন শরিফুল ইসলাম। আবদুল্লাহ শফিক ১২ আর শান মাসুদ ৯ রানে অপরাজিত আছেন।
রাওয়ালপিন্ডির উইকেট পুরোপুরি ব্যাটিং বান্ধব। পাকিস্তানি বোলারদের পাত্তাই দেননি বাংলাদেশের ব্যাটাররা। সেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে গিয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। ৭ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করেন তিনি।
তবে, সাদমানের মত ভুল করেননি মুশফিকুর রহিম। ১১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে আগা সালমানকে লেগ সাইডে ঠেলে দিয়েই দুই রান নেন তিনি। সে সঙ্গে পূরণ করে ফেলেন ক্যারিয়ারের ১১তম টেস্ট সেঞ্চুরি। ২০০ বলে পৌঁছান তিন অংকের ঘরে।
চার হাফসেঞ্চুরিতে বাংলাদেশ দ্বিতীয়দিনই শক্ত জবাব দিয়েছিলো পাকিস্তানি বোলারদের। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের রান ছিল ৫ উইকেটে ৩১৬। উইকেটে থাকা মুশফিকুর রহিম এবং লিটন দাস- দু’জনই করেছিলেন হাফ সেঞ্চুরি। আজ চতুর্থ দিন বাংলাদেশ সময় সকাল ১১টায় শুরু হয় খেলা। ৫৫ রান নিয়ে মুশফিকুর রহিম এবং ৫২ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস।
[230410]
তবে নিজের ইনিংসটাকে খুব বেশি আগাতে পারলেন না লিটন। ব্যক্তিগত ৫৬ রানে আউট হয়ে গেলেন নাসিম শাহের বলে উইকেটের পেছনে মোহাম্মদ রিজওয়ানের হাতে ক্যাচ দিয়ে। দলীয় রান ছিল এ সময় ৩২। ১১৪ রানের জুটি গড়েন লিটন এবং মুশফিক।
লিটন ফেরার পর মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে দলের হাল ধরেন মুশফিক। তারা দুজন সপ্তম উইকেটে গড়েন ১৯৬ রানের বড় জুটি।
মুশফিকের আজই সুযোগ ছিল সুনিল গাভাস্কার, জহির আব্বাস, হাশিম আমলা, মোহাম্মদ ইউসুফদের কাতারে চলে যাওয়ার। কিংবদন্তি এই ব্যাটারদের টেস্টে আছে ৪টি করে ডাবল সেঞ্চুরি। মুশফিকুর রহিম আজ একদম সেই রেকর্ডের দোরগোড়ায় চলে এসেছিলেন।
হলো না। মাত্র ৯ রানের জন্য ক্যারিয়ারের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরিটা করতে পারলেন না মুশফিক। ১৯১ রান করে মোহাম্মদ আলিকে স্কয়ার কাট খেলতে গিয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হয়ে ফিরলেন টাইগার এই ব্যাটার। ৩৪১ বলের ম্যারাথন ইনিংসে ২২টি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান মুশফিক।
শেষদিকে ১৪ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ২২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন শরিফুল ইসলাম। ১৬৭.৩ ওভারে বাংলাদেশ অলআউট হয় ৫৬৫ রানে।
পাকিস্তানের নাসিম শাহ ৩টি আর শাহিন শাহ আফ্রিদি, খুররম শেহজাদ এবং মোহাম্মদ আলি নেন দুটি করে উইকেট।
এআর