নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ৩০ মাস কমেছে

ফুটবলে ফিরছেন পগবা

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: অক্টোবর ৫, ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম

ঢাকা : ড্রাগ গ্রহণের দায়ে গত ফেব্রুয়ারিতে চার বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী ফুটবলার পল পগবা। 

জাতীয় দল ও ক্লাব- সব ধরনের ফুটবলে তার ওপর এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকার করা হয়। তবে আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালতে (সিএএস) আপিল করে নিষোধাজ্ঞার মেয়াদ কমিয়েছেন জুভেন্টাসের এই তারকা ফুটবলার। তার ৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা কমে ১৮ মাসে নেমে এসেছে। বিবিসি জানায়, আগামী বছর জানুয়ারি থেকে মাঠের অনুশীলনে ফিরতে পারবেন ৩১ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার। আগামী মার্চে প্রতিযোগিতামূলক ফুটবলে ফিরতে পারবেন এই আলোচিত ফুটবলার।

[233736]

গত বছরের আগস্টে সিরিএতে জুভেন্টাস ও উদিনেসের ম্যাচের পর পগবার ডোপ কেলেঙ্কারির সূত্রপাত হয়। ডোপ পরীক্ষায় পগবার ড্রাগ গ্রহণের প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলে তাকে সাময়িক ভাবে নিষিদ্ধ করে ইতালির ন্যাশনাল অ্যান্টিডোপিং ট্রাইবুনাল (নাডো)। এরপর অক্টোবরে ‘কাউন্টার-অ্যানালাইসিসে’ও একই প্রমাণ পাওয়া যায়। ফলে পগবাকে ৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। এতে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন যে, এই ফরাসি তারকা ফুটবলারের ক্যারিয়ার এখানেই শেষ! এবার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমে আসায় স্বস্তি পাচ্ছেন পগবা। শাস্তি আগে থেকে ভোগ করায় গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর থেকেই পগবার নিষেধাজ্ঞার সময় বিবেচনা করা হচ্ছে। এক বিবৃেিত পগবা জানিয়েছেন, ‘অবশেষ দুঃস্বপ্ন শেষ হলো। আমি সেই দিনের অপেক্ষায় আছি, যেদিন থেকে আবার নিজের স্বপ্নের পথে চলা শুরু করতে পারব।’ 

পগবা আরো জানান, ‘সব সময় বলে এসেছি, আমি জানা মতে অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির নিয়ম ভঙ্গ করিনি। আমি যখন ডাক্তার দ্বারা নির্ধারিত পুষ্টিকর উপাদান গ্রহণ করি, সেটি পুরুষ অ্যাথলেটদের কর্মক্ষমতাকে প্রভাবিত করে না বা বাড়ায় না।’

[233722]

মাঠের বাইরে থাকা সবসময় একজন পেশাদার খেলোয়াড়ের জন্য অনেক কষ্টের ব্যাপার। পগবার ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম নয়। তবে খেলার প্রতি সব সময় সৎ থাকার কথা বললেও ড্রাগ গ্রহণের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই এই ফুটবলারের। ২০১৮ সালে ফ্রান্সের হয়ে বিশ্বকাপজয়ী অন্যতম সদস্য ছিলেন পগবা। 

২০২২ সাল থেকে ইতালির ক্লাব জুভেন্টাসের হয়ে খেলছেন। ২০২৬ সাল পর্যন্ত ক্লাবটির সঙ্গে তার চুক্তির মেয়াদ রয়েছে। এবার নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমে যাওয়ায় নতুন করে ভাবতে শুরু করেছেন ফরাসি মিডফিল্ডার পগবা।

এমটিআই