ঢাকা: ভারতের আপত্তিতে ঝুলে গেছে পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজন। টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। সেই শঙ্কার চূড়ান্ত ইতি ঘটতে পারে আগামী ২৬ নভেম্বর।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আসর চূড়ান্ত করতে এদিন বোর্ড, আয়োজক ও সংশ্লিষ্ট কর্তাদের নিয়ে বৈঠকে বসবে আইসিসি।
ক্রিকেটভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ইএসপিএনক্রিকইনফোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২৬ নভেম্বর চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ভাগ্য নির্ধারণে জরুরি বৈঠক ডাকা হয়েছে।
যেখানে হাইব্রিড মডেলে টুর্নামেন্ট আয়োজন করার সিদ্ধান্ত আসতে পারে। তবে সেটি হতে হলে আগে, টুর্নামেন্টের আয়োজক পাকিস্তানকে ঐকমত্যে পৌঁছাতে হবে। আর তখন জানা যাবে, দ্বিতীয় বিদেশী ভেন্যু হবে কোন দেশ।
এর আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে আট দলের অংশগ্রহণে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক স্বত্ব পায় পাকিস্তান। যদিও সে সময় এ নিয়ে কোনো আপত্তি জানায়নি ভারত কিংবা বাকি দেশগুলো। সেই ধারাবাহিকতায় টুর্নামেন্ট সামনে রেখে নিজেদের প্রস্তুত করেছে পাকিস্তান।
[237937]
নতুন করে সাজানো হয়েছে পাকিস্তানের চ্যাম্পিয়নস ট্রফির তিন ভেন্যু লাহোর, করাচি এবং রাওয়ালপিন্ডিকে। ভেন্যুগুলো ঢেলে সাজাতে বড় অংকের বিনিয়োগও করেছে পিসিবি। তবে এখন টুর্নামেন্টের শেষ সময়ে এসে ভারত জানিয়েছে পাকিস্তানে যাবে না তারা।
ভারতের দাবি, হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজন। যা আবার হতে দিতে চায় না পাকিস্তান। নিজেদের মাটিতে পুরো আসর আয়োজন করার কথা একাধিকবার বলেছে পিসিবি।
তবে এখন যেই পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছে তাতে শেষ পর্যন্ত পাকিস্তানকে তাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে ভারতের হাইব্রিড মডেল প্রস্তাবেই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে হবে বলে মনে হচ্ছে।
কেননা, তা না হলে পাকিস্তান থেকেই টুর্নামেন্টের আয়োজন সরিয়ে নিতে পারে আইসিসি। কেননা, টুর্নামেন্টে ভারত না থাকলে বিরাট অংকের ক্ষতির মুখে পড়তে হবে আইসিসিকে।
এআর