ঢাকা : জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি আসরে আরো একটি সেঞ্চুরির দেখা মিলল।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) উপভোগ্য এক সেঞ্চুরির ইনিংস উপহার দিলেন খুলনার এনামুল হক বিজয়। ব্যক্তিগত ৮৮ রান নিয়ে ইনিংসের শেষ ওভারে ব্যাটিং শুরু করেন তিনি। কিন্তু প্রথম বলে স্ট্রাইক প্রান্তে ছিলেন না। দ্বিতীয় বলেই স্ট্রাইক পেয়েই বাজিমাত করলেন বিজয়। বাউন্ডারিতে পেরিয়ে যান নব্বইয়ের ঘর। চতুর্থ বলে ২ রান করেন। পঞ্চম বলে ছক্কা হাঁকিয়ে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ১০১ রানে অপরাজিত থাকেন খুলনার এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান। এজন্য ৬৭ বল খেলেছেন তিনি। তার ইনিংসে ৫টি ছক্কা ও ১০টি চারের মার রয়েছে।
চলমান এনসিএলে বিজয়ের ব্যাটে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি দেখেছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। এর আগে টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী ম্যাচে ১০টি ছক্কায় ৫৩ বলে ১০০ রান করেছিলেন তরুণ ওপেনার জিসান আলম। ওই ম্যাচে ৯৪ রানে করে আউট হন আরিফুল ইসলাম। এরপর ৯১ রানের ইনিংস খেলেছেন তামিম ইকবাল। অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে বিজয়ের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির রেকর্ডও এটি। এর আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজের প্রথম সেঞ্চুরিটিও সিলেটের মাঠেই করেছিলেন তিনি।
[239895]
২০১৩ সালের ডিসেম্বরে বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টিতে মোহামেডানের বিপক্ষে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবের হয়ে ৬৩ বলে ১০৫ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেছিলেন এই ক্রিকেটার। আরেকবার কুড়ি ওভারের ক্রিকেটে তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারের দেখা পেলেন বিজয়। খুলনার হয়ে গত চার ম্যাচে ব্যাট হাতে সুবিধা করতে পারছিলেন না তিনি। নিজেকে হারিয়ে যেন খুঁজছিলেন এই উইকেট-রক্ষক ও ব্যাটসম্যান! চার ম্যাচে সর্বসাক‚ল্যে তার রান ছিল ৪৬। অবশেষে স্বরুপে জ্বলে উঠলেন ৩২ বছর বয়সী অভিজ্ঞ এই ব্যাটসম্যান।
বিজয় সাধারণত যেভাবে ব্যাট করেন, এই ইনিংসটিও একই কায়দায় খেলেছেন। তার ব্যাটিংয়ে দারুণ কিছু শটের সমাহার ছিল। বড় শটে খেলে নজর কেড়েছেন। পাওয়ার প্লেতে ২২ বলে ৩৩ রান করেন বিজয়। ৩৮ বলে পূর্ণ করেন ফিফটি। ইনিংসের শেষ দিকে ব্যাটিংয়ে তান্ডব চালিয়েছেন তিনি। ১৬ ওভার শেষে তার রান ছিল ৫২ বলে ৬৩। বাকি তিন ওভারে সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যান বিজয়।
ইনিংসের শেষ ওভারে অনূর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের সেরা খেলোয়াড় ইমনের বলে কাঙ্খিত সেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। ইমনের প্রথম বলে সিঙ্গল নেন নুরুল হাসান সোহান। পরের বলে এনামুল চার পান ব্যাটের কানায় লেগে। তৃতীয় বলটিতে রিভার্স র্যাম্প খেলার চেষ্টায় ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। পরের বলে লং অনে পাঠিয়ে দ্রুততায় ছুটে নেন দুটি রান।
এরপর শর্ট বলে পুল করে ছক্কায় সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন বিজয়। তার সঙ্গে ২৩ বলে ৩৪ রান করে অপরাজিত থাকেন খুলনার অধিনায়ক সোহান। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ১৮০ রান সংগ্রহ খুলনা। জবাবে ৪ উইকটে হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে ঢাকা বিভাগ। ২১ রানে ম্যাচ জিতে টুর্নামেন্টে টিকে রইল খুলনা।
[239878]
অপর দিকে, টুর্নামেন্টে জয়রথ ছুটেই চলেছে রংপুর বিভাগের। আরো একটি জয় পেয়েছে তারা। গতকাল বরিশালকে ৭ উইকেটে হারিয়ে রংপুর। এ জয়ে টুর্নামেন্টে পাঁচ ম্যাচ খেলে প্রতিটি জয় তুলে নিল দলটি। পয়েন্ট টেবিলেও শীর্ষে অবস্থান করছে তারা। বরিশালের বিপক্ষে লো স্কোরিং ম্যাচে জয় পেয়েছে রংপুর। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে সবক’টি উইকেট হারিয়ে ১০৮ রান সংগ্রহ করে বরিশাল। জবাবে ১৩ বল হাতে রেখে ৩ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর বিভাগ। তাদের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন ওপেনার রিজওয়ান। তবে ম্যাচসেরার পুরস্কার পেয়েছেন রংপুরের আলাউদ্দিন বাবু। তিনি ৯ রানে ৪ উইকেট শিকারের কৃতিত্ব দেখান।
এমটিআই