ঢাকা: সামিউল্লাহ শেনওয়ারিকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেই জোরাল আবেদন খুশদিল শাহর। তাতে সাড়া দিয়ে আম্পায়ারও তর্জনী ভাসালেন। তখন পাকিস্তানি স্পিনারের আনন্দের আর শেষ নেই। হ্যাটট্রিক বলে কথা! তবে সেই খুশি দীর্ঘ হয়নি।
শেনওয়ারি রিভিউ নেওয়ায় আনন্দ থামাতে হয় খুশদিলকে। পরে সেই আনন্দ আর পুনরায় করতে পারেননি তিনি। রিভিউয়ে দেখা যায় বল মিস করেছে স্ট্যাম্প। এতে মনঃক্ষুণ্ন হন পাকিস্তানের বাঁহাতি অলরাউন্ডার।
আর অন্যদিকে নিজের সিদ্ধান্ত বদলে ক্ষমা চান আম্পায়ার।
[240815]
দলীয় ১৫তম ওভারে হ্যাটট্রিক না পাওয়ার আক্ষেপে পুড়লেও রংপুরকে জয়ের মোমেন্টাম এনে দেন খুশদিল। সেই মোমেন্টাম ধরেই পরে টানা দ্বিতীয় জয় পায় রংপুর। ৩৪ রানের জয়ের ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেছেন পেস সেনসেশন নাহিদ রানা।
২৭ রানে ৪ উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলারও তিনি।
অবশ্য ১৫৬ রান তাড়া করতে নেমে বলা যায় একটা সময় জয়ের পথেই ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। প্রথম ম্যাচে জয় পেতে শেষ ৩৬ বলে ৬৫ রান প্রয়োজন ছিল দুটি পাতা এক কুঁড়ির দেশের দলটির। হাতে ছিল ৭ উইকেট।
এমন সমীকরণে এসে রংপুরকে ম্যাচে ফেরান খুশদিল।
[240798]
সেট ব্যাটার রনি তালুকার (৪১) ও দলের অধিনায়ক আরিফুল হককে (০) আউট করে। পরে রিভিউয়ে মিস হ্যাটট্রিক। পরে নাহিদ-মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একের পর এক উইকেট তুলে নিয়ে সিলেটকে ১২১ রানের বেশি করতে দেননি। বিশেষ করে ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বোলিং করে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের গুঁড়িয়ে দিয়েছেন ৪ উইকেট নেওয়া নাহিদ। সর্বশেষ তিন ম্যাচের হিসেবে লক্ষ্যটা কম দিয়েও যে ম্যাচ জেতা যায় তা করে দেখালেন নাহিদ-সাইফউদ্দিনরা।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৫৫ রান করে রংপুর। গ্লোবাল সুপার লিগের চ্যাম্পিয়নরা এই সংগ্রহটা পায় ইফতিখার আহমেদ-নুরুল হাসান সোহানের দুটি চল্লিশোর্ধ্ব ইনিংসে। অন্যথা, দেড় শ রান করা নিয়েও শঙ্কা ছিল। অধিনায়ক সোহানের ৪১ রানের বিপরীতে ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন পাকিস্তানি ব্যাটার ইফতিখার।
আইএ