ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়া যখন শুরু হবে, সবার দৃষ্টি তখন ভারতীয় দলের দিকে। জাসপ্রিত বুমরাহ কি আছেন? মাঠে নেমে যখন বৃত্ত গড়ে দাঁড়ালেন ভারতীয় ক্রিকেটাররা, সেখানে চোখে পড়ল না বুমরাহকে।
সতীর্থদের উদ্দেশে সেখানে কথা বলতে দেখা গেল ভিরাট কোহলিকে। ম্যাচের ভাগ্যও যেন লেখা হয়ে গেল তখনই। মোহাম্মদ সিরাজ ও প্রাসিধ কৃষ্ণা অবশ্য চেষ্টা করলেন যথেষ্টই। তবে বুমরাহর অভাব পূরণ করার মতো কেউ তো ক্রিকেট দুনিয়াতেই নেই এখন!
প্রসিধের তিন উইকেটে তাদের একটু নাড়িয়ে দিলেও শেষ পর্যন্ত পথ হারাল না প্যাট কামিন্সের দল। সিডনি টেস্টে ৬ উইকেটের জয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি আবার নিজেদের করে নিল তারা। পাশাপাশি নিশ্চিত করে ফেলল টানা দ্বিতীয়বার আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলাও।
এক দশক পর বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজ জিতলো অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের শেষ টেস্টে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ভারতকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে অজিরা। এতে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ নিশ্চিত করেছে প্যাট কামিন্সের দল।
সর্বশেষ ২০১৪-২০১৫ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। এরপর টানা চার মৌসুম বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি ছিল ভারতের কাছেই। অবশেষে সেই ট্রফি উদ্ধার করলো অজিরা।
দুর্দান্ত জয়ে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালও নিশ্চিত করে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। বাদ পড়েছে ভারত। আগামী ১১-১৫ জুনে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ২০২৩-২০২৫ চক্রের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে অস্ট্রেলিয়া।
রোববার ৬ উইকেটে ১৪১ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে ভারত। মাত্র ৭.৫ ওভার ব্যাট করে ১৬ রান যোগ করেই অলআউট হয় সফরকারীরা। একে একে সাজঘরে ফেরত যান রবীন্দ্র জাদেজা (৪৫ বলে ১৩), ওয়াশিংটন সুন্দর (৪৩ বলে ১২), মোহাম্মদ সিরাজ (১১ বলে ৪) ও জাসপ্রিত বুমরাহ (৩ বলে ০)। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৫৭ রানে গুটিয়ে যায় ভারত। এতে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১৬২ রানের।
[241059]
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় দারুণ আত্মব্শ্বিাসী হয়ে খেলা শুরু করেন অস্ট্রেলিয়ান দুই ওপেনার স্যাম কানস্টাস ও উসমান খাজা। দ্রুত গতিতে রান তুলতে শুরু করেন তারা। যদিও ইনিংস বড় করতে পারেননি কনস্টাস। ১৭ বলে ২২ রান করে প্রসিধ কৃষ্ণার বলে মিডঅফে ওয়াশিংটন সুন্দরের হাতে ক্যাচ হন ডানহাতি তরুণ ব্যাটার।
তিনে নামা মারনাস লাবুশেনকেও দ্রুত তুলে নেন কৃষ্ণা। ২০ বলে ৭ রান করে গালিতে যশস্বী জয়সওয়ালের হাতে ক্যাচ হন ডানহাতি অসি ব্যাটার। একই কৌশলে স্টিভ স্মিথকেও সাজঘরের পথ দেখান ভারতীয় ডানহাতি পেসার। ৬ বলে ৪ রান করে জয়সওয়ালের তালুবন্দি হন স্মিথ। আর ১ রান করতে পারলেই টেস্ট ক্যারিয়ারে ১০ হাজার রান পূর্ণ হতো অসি ব্যাটারের। মাইলফলক ছুঁতে স্মিথকে অপেক্ষা করতে হলো পরের ম্যাচের জন্য।
উসমান খাজাকে ৪১ রানে (৪৫ বলে) থাকতে উইকেটরক্ষক রিশাভ পান্তের হাতের ক্যাচ বানান মোহাম্মদ সিরাজ। এরপর আর লড়াইয়ে থাকতে পারেনি ভারত। দুদিক থেকে ভারতীয় দলের বোলারদের তুলোধুনো করেন ট্রাভিস হেড ও অভিষেক হওয়া ব্যু ওয়েবস্টার। চতুর্থ উইকেটে ৫৩ বলে ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি করে অস্ট্রেলিয়ান জয় নিশ্চিত করেন তারা।
৩৮ বলে ৩৪ রান করেন হেড। ৩৪ বলে ৩৯ রানে অপরাজিত থাকেন ওয়েবস্টার।
এআর