রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি লিভারপুল-ম্যানইউর

  • ক্রীড়া ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: জানুয়ারি ৬, ২০২৫, ১১:১১ এএম

ঢাকা : প্রথমার্ধের গড়পড়তা ফুটবলের পর জমে উঠল লড়াই। আগের তিন ম্যাচে গোল করতে না পারা ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড চমক জাগিয়ে এগিয়ে গেল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে। দারুণ ছন্দে থাকা লিভারপুল তেতে উঠল খানিক পরেই, এগিয়েও গেল তারা। তবে ভীষণ খারাপ সময়ে চলা হুবেন আমুরির দল এবার সুযোগ হাতছাড়া করল না, আরেকটি গোল করে তুলে নিল মূল্যবান একটি পয়েন্ট।

অ্যানফিল্ডে রোববার প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচটি ২-২ গোলে ড্র হয়েছে।

লিসান্দ্রো মার্তিনেস ইউনাইটেডকে এগিয়ে নেওয়ার পর সমতা টানেন কোডি হাকপো। এরপর মোহামেদ সালাহর সফল স্পট কিকে এগিয়ে যায় লিভারপুল; কিন্তু পরে আমাদ দিয়ালোর লক্ষ্যভেদে অমীমাংসিত রয়ে যায় লড়াই।

[241161]

ইংল্যান্ডের উত্তরে ভারি তুষারপাতে ম্যাচটি মাঠে গড়ানো নিয়ে জেগেছিল শঙ্কা। অনিশ্চয়তা মুছে শেষ পর্যন্ত দারুণ এক লড়াইয়ের দেখা মিলল, যদিও সমতায় শেষ হওয়া ম্যাচটি দুই দলের জন্য হয়ে রইল ভিন্ন স্বাদের।

লিগে টানা তিন জয়ের পর পয়েন্ট হারাল লিভারপুল। আর সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা চার হারের পর পয়েন্ট পেল ইউনাইটেড।

১৯ ম্যাচে ১৪ জয় ও ৪ ড্রয়ে ৪৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে লিভারপুল। তাদের চেয়ে ৬ পয়েন্ট কম নিয়ে দুইয়ে ২০ ম্যাচ খেলা আর্সেনাল।

২০ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে একধাপ উঠে ১৩ নম্বরে ইউনাইটেড।

প্রথম ১০ মিনিটের গতিহীন ফুটবলের পর ত্রয়োদশ মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য আক্রমণটি করে লিভারপুল। তবে ট্রেন্ট অ্যালেকজ্যান্ডার আর্নল্ডের শট রক্ষণে প্রতিহত হওয়ার পর, ফিরতি বল পেয়ে উড়িয়ে মারেন লুইস দিয়াস।

লক্ষ্যে প্রথম শট দেখা যায় ষোড়শ মিনিটে; তবে সালাহর থ্রু বল বক্সে পেয়ে আলেক্সিস মাক আলিস্তেরের শট পা দিয়ে আটকান গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনানা।

কিছুক্ষণ পর পাল্টা আক্রমণে ইউনাইটেডও ভালো একটি সুযোগ পায়। কিন্তু সতীর্থের ক্রস ছয় গজ বক্সে মুখে ফাঁকায় পেলেও ঠিকঠাক হেড করতে পারেননি তরুণ ইংলিশ মিডফিল্ডার কোবি মাইনো।

[241157]

প্রতিপক্ষের ছোট্ট এক ভুলের সুযোগ কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয়ার্ধের সপ্তম মিনিটে অসাধারণ একটি গোল করে ইউনাইটেড। লিভারপুলের তিন খেলোয়াড়ের মধ্যে থেকে রক্ষণচেরা থ্রু পাস বক্সে বাড়ান ব্রুনো ফের্নান্দেস, আর বল ধরে বুলেট গতির কোনাকুনি শটে ক্রসবার ঘেঁষে জালে পাঠান আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার মার্তিনেস। চলতি আসরে এটাই আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের প্রথম গোল।

পাল্টা জবাব দিতে অবশ্য দেরি করেনি স্বাগতিকরা। মাক আলিস্তেরের পাস পেয়ে বক্সে ঢুকে একজনকে কাটিয়ে একইরকম কোনাকুনি শটে সমতা টানেন হাকপো। লিগে টানা তৃতীয় ম্যাচে জালের দেখা পেলেন এই ডাচ ফরোয়ার্ড।

দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলা এবং নিয়মিত গোলের ধারায় থাকা সালাহর সফল স্পট কিকে ৭০তম মিনিটে এগিয়ে যায় লিভারপুল। ডি-বক্সে ডাচ ডিফেন্ডার মাটাইস ডি লিখটের হাতে বল লাগলেও শুরতে রেফারির চোখ এড়িয়ে যায়; পরে ভিএআর মনিটরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান তিনি।

এবারের লিগে মিশরের এই স্ট্রাকারের গোল হলো ১৮টি। আর্লিং হলান্ডের চেয়ে দুটি গোল বেশি নিয়ে তালিকার শীর্ষে আছেন তিনি।

এই গোলের পর মাঠে লিভারপুলের আধিপত্য বাড়ছিল। এর মাঝেই ৮০তম মিনিটে তাদেরকে স্তব্ধ করে সমতা টানে সফরকারীরা। আলেহান্দ্রো গার্নাচোর পাস বক্সের মাঝামাঝি পেয়ে প্লেসিং শটে গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন কোত দি ভোয়ার ফরোয়ার্ড দিয়ালো।

নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে দারুণ দুটি সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি লিভারপুল; দিয়োগো জটা ও কনর ব্র্যাডলির প্রচেষ্টা রুখে দেন আন্দ্রে ওনানা।

সাত মিনিট যোগ করা সময়ের অন্তিম মুহূর্তে ব্যবধান গড়ে দিতে পারতেন ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার হ্যারি ম্যাগুইয়ার; কিন্তু বক্সে ফাঁকায় বল পেয়ে অবিশ্বাস্যভাবে উড়িয়ে মারেন তিনি।

এমটিআই