ঢাকা : ম্যাচের ষষ্ঠ বলেই ট্রাভিস হেডকে বিদায় করে দিলেন মোহাম্মদ সিরাজ। এরপর আরও তিন শিকার ধরলেন গুজরাট টাইটান্সের এই পেসার। ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে বললেন, বোলিংটা বেশ উপভোগ করছেন তিনি।
আইপিএলে রোববার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে ১৭ রানে ৪ উইকেট নেন সিরাজ। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে যা তার ক্যারিয়ার সেরা। ২০২২ সালে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষেও ১৭ রানে ৪ শিকার ধরেছিলেন এই ভারতীয়।
আগের ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিপক্ষেও বল হাতে আলো ছড়ান সিরাজ। সেদিন ১৯ রান খরচায় ৩ উইকেট নেন তিনি। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ২ শিকার ধরেন ৩৪ রানে। আসরে দলের প্রথম ম্যাচে ৫৪ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।
হায়দরাবাদের বিপক্ষে এদিন দুটি করে উইকেট নেন প্রাসিধ কৃষ্ণা ও সাই কিশোরও। গুজরাটের দারুণ বোলিংয়ে বড় পুঁজি গড়তে পারেনি সানরাইজার্স। ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান করে তারা।
[247204]
টস জিতে আগে ফিল্ডিং নিয়ে সিরাজের হাতে বল তুলে দেন গুজরাটের অধিনায়ক শুবমান গিল। প্রথম ওভারেই দলকে সাফল্য এনে দেন সিরাজ। প্রথম পাঁচ বলে দুই চার হজমের পর শেষ হাসি হাসেন তিনি। পায়ের উপরের ফুল লেংথ বলে মিডউইকেটে ধরা পড়েন হেড।
নিজের তৃতীয় ও ম্যাচের পঞ্চম ওভারে হায়দরাবাদের আরেক ওপেনার আভিশেক শার্মাকেও বিদায় করেন সিরাজ। এতে স্পর্শ করেন আইপিএলে একশ উইকেটের মাইলফলক।
১৯তম ওভারে আবার বোলিংয়ে এসে শেষ তিন বলে জোড়া শিকার ধরেন সিরাজ। অনিকেত ভার্মাকে এলবিডব্লিউ করার এক বল পর সিমারজিত সিংয়ের স্টাম্প ভেঙে দেন তিনি।
[247206]
ইনিংসের মাঝ বিরতিতে সিরাজ বলেন বোলিং, ফিটনেস ও মানসিকতা নিয়ে কাজ করার ফল এই পারফরম্যান্স।
আমি সত্যিই উপভোগ করছি। বিশ্রাম পেয়েছিলাম, তখন বোলিং, ফিটনেস ও মানসিকতা নিয়ে কাজ করেছিলাম। শরীর সতেজ আছে, তাই বোলিং খুব উপভোগ করছি।
হায়দরাবাদের হয়ে ফিফটি করতে পারেননি কেউ। সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন নিতিশ কুমার রেড্ডি। হাইনরিখ ক্লসেন ১৯ বলে ২৭ ও শেষ দিকে প্যাট কামিন্স ৯ বলে করেন ২২ রান।
এমটিআই