কাক যখন কথা বলে অবিকল মানুষের কণ্ঠে!

  • ফিচার ডেস্ক | সোনালী নিউজ
  • প্রকাশিত: নভেম্বর ২৫, ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম

ঢাকা: পৃথিবীতে কত পাখি আছে যারা কথা বলতে পারে। কিন্তু আপনি কি কখনো কথা বলা কাক দেখেছেন? কাক বলতে সাধারণত মনে হয় শুধু কা কা ডেকে বিরক্ত করার পাখি। কিন্তু সেই কা কা বলা প্রাণীটা যদি হঠাৎ আপনার নাম ধরে ডাকে, আর সেটা যদি হয় কোনো মানুষের কণ্ঠে! তাহলে চমকে উঠবেন নিশ্চয়ই।

কিন্তু রাশিয়ার রাজধানি মস্কোর কাছে একটি প্রাণী স্টুডিওর ১৪ বছরের কাক কারলুশা পুরো ব্যাপারটাই অন্যরকম করে তুলেছে। সে শুধু ডাকেই না, কথা বলে, মজা করে, আর এমনভাবে মানুষের কথা নকল করে, যে সবাই তাক লেগে যায়!

চিড়িয়াখানার এক কর্মচারীকেতো কারলুশা এমনভাবে চমকে দিয়েছিল যে তিনি প্রথমে বুঝতেই পারেননি, এটা কাক না কি তার বস! কারলুশা যখন প্রথমবার নাম ধরে ডাকতে শুরু করল, তখন সেই কর্মচারী নিজের কানকেও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।

স্টুডিওর প্রধান আনা পোনোমারেভা জানান, আমরা ওকে শেখাইনি, সে নিজেই বেছে নিয়েছে স্টুডিওর প্রধানের কণ্ঠ। আর প্রথম শব্দ ছিল পাশা!

[238017]

কারলুশার কথা বলার দক্ষতা এতই নিখুঁত যে সে কণ্ঠস্বরের ব্যক্তিত্ব ও সুর অনুকরণ করতে পারে। আনা নিজেও প্রায়ই বিভ্রান্ত হন, যখন কারলুশা তার নাম ধরে ডাকে। শুধু তাই নয়, কারলুশা প্রায়ই টিভি সিরিজ আর বিজ্ঞাপনে অংশ নেয়। শ্যুটিংয়ের সময় অনেক মজার ঘটনা ঘটে। যেমন, কারলুশা কেবল কথা বলে না, সঠিক সময়ে হাসতেও জানে। কোনো শুটিংয়ে থাকলে সে অভিনেতাদের কৌতুকে হাসে, আর সেটা এতটাই স্বাভাবিক যে শুটিং সেটের সবাই মুগ্ধ হয়ে যায়। রাশিয়ার অভিনেতা ইউরি স্টয়ানোভের কৌতুকের প্রতিক্রিয়ায় কারলুশার সেই হাসি পুরো শুটিং সেটকেই মাতিয়ে তোলে।

কিন্তু কারলুশা মোটেও সহজ স্বভাবের পাখি নয়। আনা জানালেন, সে খুবই জেদি। অন্য কেউ কাছে আসতে চাইলে ঠোকর দেয়, শুধু আমিই ওকে আদর করতে পারি। খাবার খেতেও তার আলাদা মজা! সে খাবারকে শুধু পেট ভরানোর জন্য নয়, বিনোদনের অংশ হিসেবেই নেয়। সে খাবার লুকায়, আবার বের করে। একেবারে মানুষের ন্যায় স্বভাব।

কারলুশার এই অনন্য প্রতিভা আর দুষ্টুমি মিলে তাকে করেছে চিড়িয়াখানার অন্যতম আকর্ষণ। দর্শনার্থীরা আসে শুধু কারলুশার কথা শোনার জন্য। সে তো আর সাধারণ কাক নয় সে যে এক প্রকৃত স্টার। কারলুশা ছাড়া কভচেগ অ্যানিমাল স্টুডিওর আরও অনেক প্রাণী বিভিন্ন টিভি বিজ্ঞাপন, মিউজিক ভিডিও, আর অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়।

ইউআর