শেরপুর : শেরপুরের সদ্য এমপিওভুক্ত ঝিনাইগাতি মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মুহাম্মদ খলিলুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত এক শিক্ষিকাকে এমপিওভুক্তির চেষ্টা করেছিলেন। একইসাথে নিয়োগ পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করা প্রভাষককে বাদ দিয়ে ২য় স্থান অধিকারীকে এমপিওভুক্ত করিয়েছেন তিনি।
আরো পড়ুন : শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে সব শিক্ষকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা
এসব অপরাধে অভিযুক্ত অধ্যক্ষের এমপিও বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একইসাথে তার এমপিও বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এসব নির্দেশনা দিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ঝিনাইগাতি মহিলা আদর্শ ডিগ্রি কলেজটি ২০১৯ খ্রিষ্টাব্দে এমপিওভুক্ত হয়। প্রতিষ্ঠানটিতে ননএমপিও থাকার সময় ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে দর্শনের প্রভাষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন আফরোজা আক্তার নামে এক শিক্ষক। তিনি প্রতিষ্ঠানটি থেকে পদত্যাগ না করেই ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার কাতনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে যোগদান করেন।
তবে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হলে অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান কাতনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদে কর্মরত আফরোজা বেগমকে এমপিওভুক্ত করা প্রস্তাব পাঠান। কিন্তু ধরা পড়ে যান তিনি।
আরও জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির ইংরেজির প্রভাষক পদে নিয়োগের জন্য ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় প্রথম হয়েছিলেন পি আর মুহাম্মদ রাহুল। কিন্তু তাকে বাদ দিয়ে ২য় স্থান অধিকার করা শিক্ষক আবু হানিফকে নিয়োগ দিয়েছিলেন অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান। পরে কলেজ এমপিওভুক্ত হলে আবু হানিফকে এমপিওভুক্ত করান তিনি।
এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় অধ্যক্ষ মুহাম্মদ খলিলুর রহমানের এমপিও স্থগিত করার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এ নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অধিদপ্তরে পাঠানো চিঠিতে, অধ্যক্ষ মুহাম্মদ খলিলুর রহমানের এমপিও চূড়ান্তভাবে বাতিল কেন করা হবে না তা জানতে চেয়ে শোকজ করতে বলা হয়েছে। গত ২ মার্চ মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে মাধ্যমিক ওউচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরকে এসব নির্দেশনা দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
সোনালীনিউজ/এমএএইচ
আপনার মতামত লিখুন :